স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ সেপ্টেম্বর : আইনের রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে উঠে তখন থানা হয়ে যায় আদালত। এ ধরনের হাস্যকর ঘটনা ঘটলো পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায়। গৃহবধূর মামলা রেজিস্টার না করে থানায় স্বামীকে ডেকে এনে গুরুতর অভিযোগ মীমাংসা জন্য চাপ সৃষ্টি করে বলে থানার মহিলা পুলিশ অফিসাররা।
অভিযোগ স্ত্রীর অশ্লীল ভিডিও করে ভাইরাল করেছিল গৃহবধূর স্বামী গৌতম দেব। ঘটনার বিবরণের জানা যায়, দু বছর আগে আগরতলা কালী টিলা এলাকার এক মেয়ের সাথে বিয়ে হয় কমলপুরের সেই যুবকের। বিয়ের আগে যুবকের চরিত্র জানতে না পারলেও বিয়ের পর আসল চরিত্রটা সামনে উঠে এসেছে গৃহবধুর। গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকটি ভিডিও করে সে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে। গৃহবধূর নজরে বিষয়টি আসতেই তার বাবাকে জানায়। তারপর পূর্ব মহিলা থানায় মামলা দায়ের করতে যায় গৃহবধূ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো পুলিশ গত ৩-৪ দিনেও সে মামলা রেজিস্টার করেনি। সোমবার দুপুরে গৃহবধূর বাপের বাড়ি এবং শশুর বাড়ি লোকজনদের স্বামীর সহ থানায় ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করতে চান। সাংবাদিকরা খবর পেয়ে থানায় ছুটে গেলে বাধা হয়ে দাঁড়ান ওসি শিপ্রা চন্দ। তখন সাংবাদিকরা বুঝে যায় ” ডাল মে কুচ কালা হে।” সেই সময় সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি এই মহিলা অফিসার। এমনকি সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে তিনি গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের উপর বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্বামীর মোবাইল থেকে অশ্লীল ভিডিওগুলি মুছে ফেলেন। এহেন কান্ড রাজ্যের মানুষ পূর্ব মহিলা থানায় আগেও দেখেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকার এই ঘটনা গুলি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এগিয়ে আসেন না।
যুগ যুগ ধরে একই থানায় বসে থেকে এ ধরনের আধিপত্য বিস্তার করছে একাংশ পুলিশ অফিসার। যাদের আইনের রক্ষক বলতে মানুষের ভাবতে হয়। তারা এমন ভাব দেখায় যেন তারাই পুলিশ, তারাই আদালত! গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে সবকিছুই মীমাংসা করে নিতে চায়। বিচার পায় না সাধারণ মানুষ। এর খবর রাখে না সরকার। কিন্তু বাম আমল থেকেই রাম আমলেও আরো বেশি জাকজমক ভাবে মহিলা থানার উদ্বোধন হতে দেখা যায়। কিন্তু থানার অন্দরে আইনের রক্ষক সেজে বসে আছে ভক্ষক। যে অধিকার আদালত মহিলা পুলিশদের দেয়নি সেই অধিকার পর্যন্ত তারা দেখাতে চাইছে।