Tuesday, May 20, 2025
বাড়িরাজ্যচিকিৎসার অভাবে হাসপাতালে মৃত্যু হল রোগীর, অভিযোগ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে

চিকিৎসার অভাবে হাসপাতালে মৃত্যু হল রোগীর, অভিযোগ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ সেপ্টেম্বর : আবারো চিকিৎসার অভাবে রাজ্যের দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েছে রোগীর পরিবার পরিজন। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রবিবার সকালে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের কারণে আইজিএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল কোনাবনের বাসিন্দা প্রতিমা রুদ্র পালকে। তারপর চিকিৎসক এসে বলেন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন।

 যথারীতি রোগীকে স্যালাইন দিয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ রোগীর খোঁজখবর নিতে আসেনি হাসপাতালের কোন চিকিতসক বা নার্স। এর মধ্যে রোগীর শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ার পর পরিবারের লোকজনেরা নার্সের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। কিন্তু তারপরও দীর্ঘক্ষণ নার্স রোগীর শারীরিক অবস্থা দেখতে আসেনি। পরে এসে রোগীর রক্ত সংগ্রহ করে যাওয়ার পরই ছটফট শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে প্রতিমা রুদ্র পাল। তারপর নার্স এসে জানায় রোগীকে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু কেন সে বিষয়টি রোগীর পরিবারকে জানানো হয়নি সেটাও অবগত নয় রোগীর পরিবার বলে অভিযোগ। সুতরাং এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে রোগীর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে।

তাই বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হবে বলে জানান রোগীর পরিবার। পাশাপাশি হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে আঙ্গুল তুলেন তারা। তারা জানান পরিষেবা হাসপাতালে মোটেই ভালো নয়। পরিষেবা ভালো হলে এভাবে রোগীর মৃত্যু হতো না। তবে হাসপাতালে নগ্ন পরিষেবা নিয়ে কিছুদিন পরপরই এভাবে অভিযোগ উঠলেও টনক নড়ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের। কেন হাসপাতালে গিয়ে এভাবে রোগী এবং রোগীর পরিবারদের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় এবং বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়, এর জবাব নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং দপ্তরের আধিকারিকদের। সকাল থেকে শুধু মন্ত্রীদের পিছু করে আধিকারিকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাসপাতালে গিয়ে পরিষেবা কতটা সঠিক রয়েছে সেটা যাচাই করার সদিচ্ছা নেই তাদের। মনে হয় যেন তাদের মাসিক বেতন সেই মন্ত্রীদের পকেট থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের মাসিক জনগণের করের পয়সা দিয়ে। তাই মন্ত্রীদের খুশি না রেখে রোগী এবং রোগীর পরিবারদের যদি খুশি রাখার কথা আধিকারিকরা ভাবতেন তাহলে প্রিয় মানুষকে হারাতে হয় না হাসপাতালে এসে রোগীর পরিবারদের। কিন্তু একজন চিকিৎসাক বা স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা মন্ত্রী বিধায়ক ও তাদের পরিবারের শারীরিক অসুস্থ হলে দেখা যায় হাসপাতালে একজন রোগীর পেছনে থাকে পাঁচ থেকে সাতজন চিকিৎসক। তখন দপ্তরের কাজকর্ম খ্যামা দিয়ে তারা লেগে পড়েন সেই রোগীর পেছনে। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়। কিন্তু যাদের পয়সা দিয়ে হাসপাতালের নামে বহুতল পাকা ভবন তৈরি হচ্ছে, চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করা হচ্ছে এবং মাসে মোটা অংকের বেতন নিচ্ছে তাদেরই মিলছে না স্বাস্থ্য পরিষেবা। এর চাইতে দুর্ভাগ্যের হয়তো কিছু নেই সাধারণ মানুষের কাছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!