স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জানুয়ারি : শনিবার ভোররাতে মাছ ক্রয় করতে বেড়িয়ে আততায়ীদের গুলিতে নিহত একজন, আহত দুইজন। ঘটনা নতুনবাজার থানাধীন রামভদ্র এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম সিতেন দাস। আহত দুইজন হলো জীতেন দাস, লিটন দাস। তিনজন একই বাড়ির সদস্য। তিন ভাই মূলত ব্যবসা মাছ বিক্রি করে। তারা প্রত্যেকদিন মন্দিরঘাট থেকে মাছ ক্রয় করে এনে নতুনবাজার যতনবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো।
প্রত্যেকদিনের মতো শনিবার ভোর তিনটা নাগাদ তিন ভাই মিলে মন্দিরঘাট এলাকা থেকে মাছ ক্রয় করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। টি আর ০৩ কে ৬৭৫৫ নম্বরের মোটর বাইক নিয়ে যায়। যতনবাড়ি আই টি আই সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কিছুটা পথ যাওয়ার পর রামভদ্র এলাকায় পথ আটকায় কিছু দুষ্কৃতি। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই গুলি ছুড়ে দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ। তাতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সিতেন দাসের। অপর ভাই জিতেন দাস ও গুরুতর আহত হয় বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিক অপর ভাই লিটন দাস অল্পবিস্তর আহত হয় ।
আহত অবস্থায় পালিয়ে আসে বাড়িতে। বাড়িতে এসে খবর দেয় পুলিশকে। ছুটে যায় পুলিশ। পুলিশ ছুটে গিয়ে নিয়ে আসে নতুনবাজার হাসপাতালে। জিতেন দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। লিটন দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং আসামী গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার সকালে অমরপুর করবুক সড়কের যতনবাড়ি এলাকায় পথ অবরোধে বসে সাধারন জনগন। প্রায় দীর্ঘক্ষন চলে এই অবরোধ। অবরোধের ফলে আটকে পরে বহু যানবাহন। পরবর্তী সময় অমরপুর পুলিশ আধিকারিক এবং অমরপুরের বিধায়ক রঞ্জিত দাসের হস্তক্ষেপে অবরোধ মুক্ত হয়। পরবর্তী সময় আহত এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সাথে কথা বলেন বিধায়ক রঞ্জিত দাস। সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। পরিকল্পিত ভাবে এই কান্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানান তিনি। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিধায়ক রঞ্জিত দাস। এদিকে সকাল বেলা ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডগ স্কোয়ার্ড ও ফরেন্সিক টিম। তদন্ত কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তদন্ত সাপেক্ষে নামধাম কিছুই বলতে নারাজ পুলিশ। এদিকে এই ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত বলে জানা যায়। মূলত ব্যবসা সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই এই ঘটনা বলে সূত্রে জানা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।