স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জানুয়ারি: করোনা মনে হয় বরযাত্রী! এমনটাই ভাবছে অভিজ্ঞ মহল। কারণ রাত ৮ টা থেকে নৈশ কারফিউ। আর সারাদিন ব্যাপী সর্বত্র যেন স্বাভাবিক। কারণ সরকারি বিধি নিষেধ যেন কাগজে-কলমে আর বিজ্ঞাপনে ঠাঁই হয়ে আছে। আর বেলাগাম বাস্তব। কারণ প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ চোখ রাঙিয়ে চলেছে।
থামছে না মৃত্যুর মিছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞমহল অবাক, সর্বত্র চলছে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান এবং সামাজিক অনুষ্ঠান। আর অনুষ্ঠান ঘিরে বাড়ছে ভিড়। আশঙ্কা রূপ নিচ্ছে গন সংক্রমনের। পরিস্থিতি যেখানে ভয়াবহ সেখানে রাজ্যের রাজনৈতিক নেতৃত্বদের সাধারণ মানুষকে নিয়ে যেন কোন রকম মাথা ব্যাথা নেই। প্রতিদিন হাসপাতলে ছুটছে সাইরেন বাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্স। গোটা পরিস্থিতি যদি গুরুত্বের সাথে দেখা হয় তাহলে সংক্রমণ কতটা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে সেটা হয়তো চিন্তায় ফেলবে। বাজার হাট, হোটেল রেস্টুরেন্ট, সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বস্ত্রদান এগুলো যেন এই উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যেও থেমে নেই। যাই হোক প্রশাসনের একাংশ আধিকারিক তামাক খেয়ে যেন অফিসে বসে আছেন। কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে-ময়দানে নেই।
আর পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তখন কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ বাজার হাটে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অহেতুক অসচেতন মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপের দিকে এগোচ্ছে। সেসব কর্মসূচিতে কোনো রকম বাধা নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আসলে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মিনিস্টার, জনপ্রতিনিধি উপস্থিত থাকবে শুনলেই হলো দায়িত্ব জ্ঞানহীন হারিয়ে অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। অন্যান্য দিনের মতো সংক্রমণ গত ২৪ ঘন্টায় অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে ৮,৫৪৭ জনের নমুনা পরিক্ষা করে ৯৫৪ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সংক্রমিত হয়েছে ৩৬৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় সংক্রমিত ৩৯ জন, খোয়াই জেলায় ২৭ জন, গোমতি জেলায় ৬৪ জন, দক্ষিণ জেলায় ১৪০ জন, ধলাই জেলায় ৯৪ জন, ঊনকোটি জেলায় ১০৫ জন, উত্তর জেলায় ১১৬ জন। রাজ্যে সংক্রমণের হার ১১.১৬ শতাংশ। রাজ্যে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা ৮,১৯৬ জন। সংক্রমনের ঊর্ধ্বগতির শুরু থেকে পশ্চিম জেলা শীর্ষস্থানে ছিল। বর্তমানেও রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য জেলা বর্তমানে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণের দিকে পশ্চিম জেলাকে ছুঁই ছুঁই। যা এক প্রকার উদ্বেগের কারণ রাজ্যের বিশেষজ্ঞ মহলের কাছে।