স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ অক্টোবর : আর নির্বাচনের দেড় বছর আগেই রাজ্যের শাসক দলের সংসার ভাঙ্গা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। যা নিয়ে শাসকদলের কপালে বাড়তে চলেছে চিন্তার ভাঁজ। মঙ্গলবার সাড়ে তিনটে নাগাদ কালীঘাটে ক্রিয়াকর্ম করেন সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশিস দাস। তিনি এদিন প্রায়শ্চিত্ত করে মাথা ন্যাড়া করেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন বিধায়ক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন আজকে।
যতদিন না পর্যন্ত বিজেপি সরকারকে ত্রিপুরা থেকে উৎখাত হবে, ততদিন তিনি মাথা ন্যাড়া করে থাকবেন। অর্থাৎ ২০২৩ পর্যন্ত তিনি মাথা ন্যাড়া করে থাকবেন বলে জানান। কারণ ভালোবাসা এবং ঘৃণা একে অপরের পরিপূরক। যদি ভালোবাসা মানুষটা ধোঁকা দেয় তাহলে তার ঘৃণাতে পরিণত হয়। ২০১৫ সালে তিনি উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করেছিলেন। ২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে এর প্রভাব পড়ে এবং বিধায়ক হিসেবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু রাজ্যে গত তিন বছর ধরে যে অরাজগতা চলছে তার উর্ধে উঠে দলীয় স্বার্থে এবং জনকল্যাণে জন্য একাধিক কর্মসূচি করেছেন। কিন্তু তারপরও অরাজকতা বন্ধ হচ্ছে না। তিনি আর পাপ করতে পারবেন না।
কালীঘাটে এসে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শুধু দোষ দিলে হবে না। অভিভাবকরা যদি ছেলেদের সঠিক পথে পরিচালিত না করে তাহলে সেই ছেলেরা খারাপ হবেই। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা প্রতিনিয়ত ত্রিপুরা যাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য একবারের জন্যও যায়নি। সুতরাং সমস্যাতো তাহলে সমস্যা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে আগামী দিনেও আরো বেশকিছু বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে পা রাখবে বল অভিমত রাজনৈতিক মহলের।