স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ আগস্ট : রাজ্যের রেল পরিষেবা নিয়ে আবারও আঙ্গুল তুলল সি আই টি ইউ রাজ্য কমিটি। শুক্রবার সি আই টি ইউ রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত দাবি করেন, রাজ্যের রেল পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তিনি বলেন রেল পরিষেবায় অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে আগরতলা রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষকে। বৃহস্পতিবার আগরতলা রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে রাজ্য থেকে যাতায়াতকারী এক্সপ্রেস ও ডেমু ট্রেন গুলির মধ্যে পানীয় জলের চরম সঙ্কট। শৌচাগারগুলি ব্যবহারের অযোগ্য। এবং রেলের বগিতে দাঁড়ানো যায় না এত দুর্গন্ধ রেলের শৌচাগার থেকে বের হয়। তাই দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে বলা হয়েছে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কারণ মানুষ টাকা ব্যয় করে রেল দিয়ে যাতায়াত করে। আরো অবগত করা হয়েছে অত্যন্ত পুরনো বগি দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেন গুলি আগরতলা থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যাতায়াত করছে। এই বগি গুলির মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষেবা নেই।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন যত পুরনো রেল বগি রয়েছে সেগুলি মনে হয় যেন ত্রিপুরার জন্য পাঠানো হয়। মান উন্নত করতে বোগি গুলি পরিবর্তনের দাবি জানান প্রতিনিধি দল। তিনি আর বলেন হকারদের রেলে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু হকাররা রেলের যাত্রীদের কাছে বিভিন্ন খাবার বিক্রি করে সংসার প্রতি পালন করে। যেহেতু রেল মন্ত্রকের অনুমোদন নিয়ে তারা হকারি করে তাই তাদের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধার্থে রেলের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও করা হয়েছে। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় আগরতলা থেকে সাব্রুম যে ডেমু রেল পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল সেটা এখনো চালু হয়নি কেন? আধিকারিক জানান আগামী ২৯ আগস্ট থেকে এই ডেমু ট্রেনটি চালু করা হবে। আখড়া সীমান্তের রেল পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান শংকর প্রসাদ দত্ত। তিনি জানান এ বিষয়ে আধিকারিক জানিয়েছেন নিশ্চিন্তপুর থেকে আখড়া পর্যন্ত রেল চালু হবে এ বছর। কিন্তু আগরতলা থেকে রেল চালু হওয়ার সম্ভাবনা এবছর নেই বলা চলে। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে যাতে রেল টিকিটের কাউন্টার বাড়ানো হয়। কারণ একটা কাউন্টার দিয়ে শত শত যাত্রীকে পরিষেবা দিতে গেলে বহু মানুষ রেলে যাতায়াত করতে পারে না বলে জানান শংকর প্রসাদ দত্ত। শ্রী প্রসাদ আরো বলেন আগামী ৩০ আগস্ট ১৬ দফা দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী কাছে যাবে সি আই টি ইউ। চা শ্রমিকদের পুজো বোনাস ২০ শতাংশ হারে দেওয়ার দাবি করা হবে। এর পাশাপাশি যাবি জানানো হবে গত চার মাস ধরে যারা সামাজিক ভাতা পায়নি তাদের ভাতা অবিলম্বে প্রদান করার জন্য। এদিন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পাঞ্চলী ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।