স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : নিয়মিত বাজার অভিযান করেও সদর মহকুমা প্রশাসন পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। দেশের পেঁয়াজ উৎপন্নকারী মূলত নাসিকে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দোহাই দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ক্রেতাদের পকেট কাটছে। কিন্তু নাসিকে পেঁয়াজের মূল্য তেমন বৃদ্ধি পায়নি। স্বল্প বৃদ্ধি পাওয়ার পরে রাজ্যের অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের মূল্য মনগড়া বাড়িয়ে চলেছে।
জানা যায় নাসিকের ভালো লাল পেঁয়াজের মূল্য ২৫-৩০ টাকা কিলো। সেই পেঁয়াজ রাজ্যে আসে না বলেই চলে। কিন্তু রাজ্যে নিম্নমানের পেঁয়াজ বহিঃরাজ্য থেকে মাত্র ২০-২২ কিলো করে ক্রয় করে রাজ্যের প্রধান বাজার গুলিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার বটতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে সদর মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকেরা প্রত্যক্ষ করেন অধিকাংশ দোকানে ৪৫ টাকা কিলোতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। কিন্তু পেঁয়াজ পাইকারি মূল্যে ক্রয় করছে ৩৬ টাকা কিলোতে বলে জানান প্রশাসনিক এক আধিকারিক। তবে যেসব দোকানে ৪৫ টাকা কিলোতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেই সব অসাধু ব্যবসায়ীদের নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয় এদিন।
এর মধ্যে বাজারের রতন দত্ত নামে এক আলু পেঁয়াজ বিক্রেতার কাছে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কিলো জানতে পেরে সেই ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি এই ব্যবসায়ীর ওজন পরিমাপ যন্ত্রের ভেরিফিকেশন না থাকায় লিগ্যাল মেট্রোলজিকে অবগত করা হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। পাশাপাশি খাদ্য দপ্তরের ডিরেক্টর নির্মল আধিকারির সাথে দেখা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে জানা যায় বাজারে ৪৭-৫০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন অভিযান চালানো হচ্ছে তখন ৫ টাকা থেকে দশ টাকা মূল্য কমিয়ে আনা হচ্ছে। সদর মহকুমা প্রশাসন যদি ছদ্মবেশে বাজারে অভিযান না চালায় তাহলে বুঝতে পারবে না কিভাবে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে চলেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবং পেছনে রয়েছে বাজার কমিটির মদত। যারা পেছন দিক থেকে সহযোগিতা করছে এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বলে সূত্রের খবর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে লাগাতার এভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষের হাঁসফাঁস ছুটবে। আর অভিযানের নাম করে প্রশাসন হরির নাম জপ করবে।