আগরতলা, ২১ জানুয়ারি (হি. স.) : পূর্ণ রাজ্য দিবসে ত্রিপুরার বিকাশে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মানিক্য শাসনকাল থেকে ত্রিপুরার গরিমা এবং অংশীদারিত্বের বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেছেন। পাশাপাশি ত্রিপুরার জনগণের একতা এবং সামাজিক প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন। আগরতলায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ত্রিপুরার পূর্ণ রাজ্য দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এভাবেই সমগ্র রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনের তিন বছরের উন্নয়নের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে ত্রিপুরা অসীম সম্ভাবনার ভূমিতে পরিণত হচ্ছে। সাথে উন্নয়নের প্রশ্নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ত্রিপুরার অসাধারণ প্রদর্শনের বিষয়ে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এই রাজ্য দ্রুত গতিতে ব্যবসায়ীক হাব হতে যাচ্ছে। সড়কপথের সাথে রেলওয়ে, আকাশপথ এবং জলপথে ত্রিপুরা সমগ্র বিশ্বের সাথে জুড়তে চলেছে। তাঁর বক্তব্য, ডাবল ইঞ্জিনের সরকার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা ২০২০ সালে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে হলদিয়া থেকে পণ্য আমদানি করেছে। সাথে তিনি এমবিবি বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের বিষয়েও উল্লেখ করেছেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী গরীবদের পাকা ঘর দেওয়া এবং ঘর নির্মানে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে রাজ্যের প্রশংসনীয় কাজের বিষয়েও চর্চা করেছেন। তিনি বলেন, লাইট হাউস যোজনা ছয়টি রাজ্যে চলছে এবং তার মধ্যে ত্রিপুরাও রয়েছে। তাঁর কথায়, গত তিন বছরের কাজ এক সূচনা মাত্র এবং ত্রিপুরার প্রকৃত ক্ষমতার ব্যবহার এখনও বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, প্রশাসনে স্বচ্ছতার সাথে কাজের মাধ্যমে উন্নয়নে নেওয়া উদ্যোগ ত্রিপুরাকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করছে। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, গ্রামীণ ক্ষেত্রে উন্নয়নকে পৌছে দিয়ে ত্রিপুরার মানুষের জীবনজীবিকা আরও সরল এবং উন্নত করতে সক্ষম হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, দেশ যেদিন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, ঠিক ওই সময়ে ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ করবে। নতুন সংকল্প এবং নয়া সম্ভাবনার দৃষ্টিতে তা এক মহান সময় হবে।