স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ অক্টোবর : ভারত সরকারের ন্যাশনাল ক্যারিয়ার সার্ভিস প্রকল্পে আওতাধীন রাজ্যের মডেল ক্যারিয়ার সেন্টার, ডিস্ট্রিক এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনায় মঙ্গলবার শ্রম ভবনে চাকুরির মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে চাকরি মেলার শুভ উদ্বোধন করেন শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী ভগবান দাস। পরে তিনি বেকার সমস্যা প্রসঙ্গে বলেন, সকলে সরকারি চাকরি পায় না। কিন্তু মানুষের পড়াশোনার পর নির্দিষ্ট একটি উপযুক্ত বয়স রোজগারের পথ বেছে নিতে হয়। সেই দিশা এবং লক্ষ্য নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের এবং উচ্চশিক্ষিত যুবক যুবতীদের জন্য সরকারি চাকুরির বিকল্প পথ হিসেবে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগের জন্য জব ফেয়ার তথা চাকরি মেলার ব্যবস্থাপনা চালু করেন। কারণ বিনা অর্থে কেউ বাঁচতে পারে না। তাই মানুষকে বেঁচে থাকতে হলে রোজগারের প্রয়োজন হয়। দেশের সরকারের উদ্যোগের ফলে বহু বেকার যুবক-যুবতী চাকরি পাচ্ছে। আর এ পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে যারা পড়াশুনা বেসিক অনেকটাই দুর্বল থাকে তারা সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই তাদের জন্য এই বিকল্প ব্যবস্থা বলে এদিন অভিমত ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তবে এখনো রাজ্যের মানুষের মধ্যে চিন্তা ধারা রয়েছে সরকারি চাকরি মানেই রোজগার। কিন্তু এই ধারণাটা সম্পূর্ণ ভুল। সরকার সরকারি চাকরি দেবে প্রত্যেককে এই ধারণা না রেখে সামনে যে সুযোগ আসে সেই সুযোগ গ্রহণ করতে আহ্বান জানান বেকার যুবক যুবতীদের প্রতি মন্ত্রী। তিনি বলেন নিষ্ঠার সাথে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রত্যেক বেকার যুবক যুবতীদের। আর এটাই হবে সঠিক চিন্তাধারা বলে জানান ভগবান দাস। তবে এদিন চাকরির মেলায় দীর্ঘ লাইনে দেখা গেছে বহু উচ্চশিক্ষিত যুবক যুবতীদের। তারাশঙ্কর মোটর প্রাইভেট লিমিটেড, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কো-লিমিটেড, পান্না হুন্ডাই, কুচিনা হোম মেকার প্রাইভেট লিমিটেড, পান প্রাইভেট লিমিটেড, সোগি’তে নিয়োগ করা হবে। ৬ টি সংস্থায় শূন্য পদের সংখ্যা ৩০৬ টি। এদিন চাকরি মেলায় বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায় বেকার যুবক যুবতীদের চাকরি দেওয়া হয়। এদিন আয়োজিত চাকুরীর মেলায় বেকার যুবক যুবতীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। কারণ রাজ্যে দীর্ঘ সময় যাবত সরকারি দপ্তর এবং বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে আছে। তাই চাকরি প্রত্যাশী যুবক-যুবতীদের লাইন এদিন দীর্ঘায়িত হয়।