স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ আগস্ট : সুশাসন জামানায় জল জীবন মিশনে টাকায় ভাগ বসাচ্ছে বিজেপি নেতারা। নেতাদের খাই মেটানোর দৌলতে তৃষ্ণা মেটাতে পারছে না মানুষ। উন্নয়নমূলক কাজে নেতাদের কমিশন বাবদ দিতে হবে মোটা অংকের টাকা।
নাহলে গজিয়ে উঠা নব্য গুন্ডাদের হুমকি শুনতে হচ্ছে ঠিকাদারদের। এমনই অভিযোগ বিশ্রামগঞ্জের বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা হল বিশ্রামগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান সুধাংশু দাস বৈষ্ণব এবং মেম্বার সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার সেবক-সংঘ নামে একটি ক্লাবের কিছু কর্মকর্তা। এমনই অভিযোগ ঠিকেদার জাহের হোসেনের। তার অভিযোগ পাম্প হাউস দালান বাড়ির কাজ শুরু হতেই বাঁধা দেয় অভিযুক্তরা। তারা প্রথমে ৭০-৮০ হাজার টাকা দাবি করে এবং পরবর্তী সময়ে ৫০ হাজার দিতেই হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কোন মতে দেওয়াল তোলার কাজ শেষ হলে এখন ঠিকেদার টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় বন্ধ করে দেয় পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজ।
ঠিকাদার আরও জানান বিগত তিন মাস ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে নির্মাণ কাজ। দফতর চাইলেও কাজ করতে দিচ্ছে না তথাকথিত নেতা মাতব্বররা।বিষয়টি গড়িয়েছে স্থানীয় মণ্ডলে। তবু মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে মন্ডলের ভেকধারি রাষ্ট্রবাদীরা। জানা যায় মন্ডল থেকে প্রধান নির্দেশ পেয়ে এ ধরনের খাম খাম করছে। উল্লেখ্য, বিশ্রামগঞ্জ পানীয় জল ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার অধীন চড়িলাম আরডি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২২ টি পাম্প হাউস নির্মাণের জন্য কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজের বরাদ পেয়েছেন অরুণ কান্তি দে । বিভিন্ন জায়গার মধ্যে বিশ্রামগঞ্জের ইটভাটা এলাকাও রয়েছে। চড়িলাম আড়ালিয়া এবং বিশ্রামগঞ্জের ইটভাটা এলাকার মত অন্যান্য জায়গার কাজের গোড়া থেকে নেতারা বহু টাকা লুটেপুটে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে ভুরি ভুরি। তবে আড়ালিয়ার মত ইট ভাটার ঘটনাটিও জানানো হয়েছে বিশ্রামগঞ্জ পানীয় জল ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার এসডিও এবং বিশালগড় ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকারকে। এখন দেখার ইট ভাটা এলাকার পাম্প হাউস নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে পানীয় জল পরিষেবা কবে নাগাদ শুরু হয়। নাকি নেতাদের কারনে পানীয় জলের অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয় জন সাধারণকে। এতে আরো একবার স্পষ্ট হয়েছে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ শুধু বিজেপি নেতাদের, বাস্তবে জনগণের নয়!