স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ আগস্ট : ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় করে আগরতলা জুট মিল চত্বরে স্থাপন করা হবে ইউনিটি মল। চতুর্থতল বিশিষ্ট এই ইউনিটি মলে ৮০ টি শোরুম থাকবে। এই ইউনিটি মলে তাঁত ও হস্তশিল্পের পণ্য, ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান প্রোডাক্ট পণ্য, জি.আই পণ্য প্রদর্শন ও বাজারজাতকরণ করা হবে। ত্রিপুরার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পণ্য বাজারজাত করা হবে।
এই মল শুধুমাত্র রাজ্যের পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করবে না অর্থনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা নেবে। ত্রিপুরার শিল্প এস্টেট গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক থেকে ১২০০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকার একটি প্রস্তাব প্রেরণ করেছে। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে এমনটা জানান দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় আইটি এনাবল সার্ভিসের প্রশিক্ষণ, হসপিটালিটি টুরিজম, ফুড প্রসেসিং ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৯২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য। সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সহায়তায় ১৭৪ জন দিব্যাঙ্গজনকে এবং ২৪০ জন দুঃস্থ মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য। জল জীবন মিশন প্রকল্পে ৩৪০ জনকে প্লামম্বার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকট্রিশিয়ান ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কর্মরত 80 জন শ্রমিকের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কাউন্সিল থেকে দুজন করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সাথে রাজ্যের যুবক যুবতীরা যেন বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক লক্ষ যুবক যুবতিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য মাত্রা হাতে নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিক প্রশিক্ষণ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৮০১ জনকে বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সংকল্প প্রকল্পের মাধ্যমে ৮০ জনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৪০ জনের প্রশিক্ষণ চলছে। পুনর্বাসন প্রাপ্ত উত্তর ত্রিপুরা, ধোলাই ও গোমতী জেলায় এই প্রকল্পে আরো ৩০০ জনের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। তাছাড়া জল জীবন মিশনের মাধ্যমে ৪০০ জনের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। সংকল্প দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্দেশ্য স্কিল বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং ঐতিহ্যবাহী দক্ষতার মান উন্নয়ন করে বাজারীকরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এই প্রকল্পে ভারত সরকার ৮ কোটি টাকার মঞ্জুরী দিয়েছে। প্রথম কিস্তিতে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। জাতীয় শিক্ষানবিশ প্রমোশন প্রকল্পের পোর্টালে এখনো পর্যন্ত ৯,৯৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী ও ২০৬ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। এবং এখনো পর্যন্ত মোট ৮৬০ টি শিক্ষানবিশ যুক্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সান্তনা চাকমা। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সান্তনা চাকমার সাথে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কে.এস সেট্টি, দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি।