স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুলাই : ভাজপা বিধায়কের চিটফান্ড যোগ ! খবরটি স্যন্দন পত্রিকায় প্রকাশের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে সাফাই দিলেন বিধায়ক ভগবান দাস। তাঁর নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ খণ্ডন করলেন এদিন। নয়া বিধায়ক আবাসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই উনার পেছনে একটা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তা আবার স্বদেশী- বিদেশী একটা ষড়যন্ত্র।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক- অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-র ভয় রয়েছে উনাকে নিয়ে। সেজন্যই বিধায়ককে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ, সোমবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে পর্বে ঊনকোটি জেলার একটি চা-বাগানের জায়গা রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণ করার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে। বিধায়ক বীরজিত সিনহা সেই প্রশ্ন আনেন। সেখানে জমি অধিগ্রহণের টাকা দেওয়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নাম উঠে আসে বিধায়ক ভগবান দাসের। সেই বিষয় নিয়ে এদিন স্পষ্টীকরণ দেন বিধায়ক ভগবান দাস। তিনি দাবি করেন, যে টাকা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেই টাকা ২০২১ সালের মার্চ মাসেই একাউন্টে চলে গেছে। আর বাগানের শ্রমিকরা উনার কাছে যান মজুরি না পেয়ে। তখন শ্রমিকদের কথা ভেবে তিনি জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসককে চিঠি দেন। ভগবান দাস দাবি করেন তিনি চিঠি দিয়েছেন মে মাসে। কিন্তু এর দুই মাস আগেই টাকা ট্রান্সফার হয়ে গেছে। যা কিনা তিনি নিজে জানতেন না বলে জানান বিধায়ক ভগবান দাস। কিন্তু সেদিন বিধানসভায় প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এই চিটফান্ডের অভিযোগের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত করছে রাজ্য সরকারের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়। অপরদিকে বিরোধী ব্যাঞ্চ থেকে সিপিআইএম -পরিষদীয় দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছিলেন কিভাবে একজন বিধায়ক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা চিটফান্ডের ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিতে একজন অফিসারকে চিঠি দিলেন ? এই বিধায়কের উপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা ? ‘জবাবে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব’। কিন্তু বিধানসভায় বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস এ বিষয় নিয়ে কোন টু শব্দ পর্যন্ত করেননি। কিন্তু ২৪ ঘন্টা অতিক্রম হওয়ার আগেই তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষয়টি সাফাই দিতে চাইলেন। কিন্তু ল্যাজে গোবরে ফাঁসলেন ভগবান দাস।