স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুন : রাজ্যের রেল পরিষেবা উন্নত না হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মানুষ। পরিষেবার মান উন্নত করার দাবিতে সিআইটিইউ নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ারের কাছে দাবি জানাবে। মঙ্গলবার অভিযোগ করলেন সি আই টি ইউ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত। তিনি সি আই টি ইউ রাজ্য দপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, এখন পর্যন্ত ধর্মনগর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ডাবল লাইন করার উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
ফলে মানুষের সময় অপচয় হচ্ছে। রেল ক্লোসিং -এর জন্য মানুষ কম সময়ে গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছাতে পারছে না। তাই দাবি জানানো হচ্ছে অবিলম্বে যাতে ধর্মনগর থেকে আগরতলা পর্যন্ত ডাবল রেল লাইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন আগে দেখা যেত সাব্রুম থেকে ধর্মনগর পর্যন্ত সরাসরি রেল পরিষেবার ছিল। এখন সরাসরি রেল পরিষেবা নেই। সাব্রুম – আগরতলা এবং আগরতলা – সাব্রুম পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হয়েছে। সপ্তাহে দুদিন ধর্মনগর থেকে শিলচর গামী ট্রেনটি রয়েছে সেটা আগের মত সপ্তাহে প্রতিদিন করার। এটা কোভিডের সময় প্রতিদিন ধর্মনগর থেকে শিলচর যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রতিদিন পরিসেবা চালু করার জন্য দাবি করবে সি আই টি ইউ।
পাশাপাশি প্রযুক্তি উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুতায়ন রেল পরিষেবার দাবি জানানো হবে রেল মন্ত্রকের কাছে। যাত্রী পরিষেবার জন্য সাব্রুম – আগরতলা এবং আগরতলা – সাব্রুম পর্যন্ত আরো একজোড়া রেল পরিষেবা দাবি জানানো হচ্ছে। ট্রেনের মধ্যে কোচ সংখ্যাও যাতে বাড়ানো হয় সে দাবিও তোলা হবে। কারণ না হলে মানুষকে রেলে দাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়। এর পাশাপাশি কোচগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে রেল পরিষেবা নিয়ে তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ জেলা , গোমতী জেলা এবং সিপাহীজলার মানুষের এক্সপ্রেস ট্রেন চলতে আগরতলায় আসতে হয়।
কারণ এক্সপ্রেস ট্রেন গুলি আগরতলা শহর থেকে যাতায়াত করে। মানুষকে আগের দিন রাতের বেলা এসে আগরতলা শহরে থাকতে হয়। তাই মানুষের সাথে এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি সাব্রুম থেকে চালানোর জন্য দাবি করে তিনি। এই দাবিগুলি জন্য নর্থ ইস্ট রেলওয়ে ফন্টিয়ারের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে দাবি জানাতে গৌহাটি মালিগাঁও যাবেন বলে জানান শংকর প্রসাদ দত্ত। এদিকে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী তথা সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে বলেন, দেশের অন্যান্য রাজ্যে গতি বাড়ানোর জন্য উন্নত রেল পরিষেবা চালু করা হচ্ছে, আর যে রেল গুলি চলে না সেগুলি ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। যে নিম্নমানের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে তা দিয়ে বুঝা যায় এর মন্তকের কোন দরদ নেই রাজ্যের মানুষের প্রতি। রাজ্যবাসীকে অসম্মান করছে। তিনি আখাউড়া সীমান্তে রেল লাইনের কাজের সমালোচনা করে বলেন ২০১৬ সালে তৎকালীন দেশের রেল মন্ত্রী, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী এসে রেল লাইনের কাজের সূচনা করে যান। ২০১৮-১৯ অর্ধ বর্ষে কাজটি সম্পন্ন করে মানুষকে উপহার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেছে ২০২৩ সালেও কাজ শেষ হয়নি। এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আখাওড়া সীমান্ত পর্যন্ত ডুয়েল গ্রেজ পর্যন্ত করা হয়নি। যার ফলে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন মানিক দে।