স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুন : মনটাং ভ্যালিতে বনদপ্তরের জমি দখল করে ব্যক্তিগত রিসোর্ট পয়েন্ট তৈরি করার অভিযোগ উঠল এ ডি সি -র কার্যনির্বাহী সদস্য কমল কলই। অবৈধ তা করে চলায় বন দপ্তরের নিয়ম মোতাবেক কমল কলই -কে শোকজ করা হয়েছে। জানা গেছে, তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লক এলাকার নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের মনটাং এ বনদপ্তরের জায়গা দখল করে বন আইনকে লংঘন করে কমল কলই ব্যক্তিগত উদ্যোগে রিসোর্ট বানিয়ে চলেছেন।
ইতিমধ্যে একাধিক ঘরও সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে। আগামী বুধবার তেলিয়ামুড়া ফরেস্ট সাব ডিভিশন অফিসে কমল কলই’কে জবাবদিহি করতে সময়ও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, একাধিকবার মৌখিকভাবে বনআইন লঙ্ঘন না করার জন্য কমল কলই’কে সতর্ক করা হয়েছিল। কমল কলইকে বেআইনিভাবে গাছ না কাটার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত কামাই বাড়াতে থাবা বসিয়েছিল এই জমিতে। অবশেষে বনদপ্তর এবার আইনি ব্যবস্থার দিকেই হাঁটতে শুরু করেছে। বন দপ্তরের আধিকারিক আরও স্পষ্ট জানিয়েছেন নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারবেন না। অর্থাৎ তিনি যতই ক্ষমতাবান ব্যক্তি হোক না কেন বেআইনিভাবে জায়গাটি দখল করে রিসোর্ট পয়েন্ট করতে পারবেন না। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যন্ত যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বনদপ্তরের আধিকারিক। এখন দেখার কমল কলই কি জবাব দেন।
কমল কলই এডিসির স্বাস্থ্য দপ্তরের কার্যনির্বাহী সদস্য হওয়ার পর থেকেই এভাবেই দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন বলে একমহল সূত্রে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থেকে এক প্রকার ভাবে দূরে রয়েছে বলা যায়। সম্প্রীতি খুমুলুঙে ভারতীয় জনতা পার্টি -র এক জনসভায় সংসদ রেবতী ত্রিপুরা এ ডি সি -র ক্ষমতাবান তিপ্রা মাথার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন উন্নয়নের স্বার্থে এ ডি সি -র জন্য বহু অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সেই অর্থ রাশি কোথায় কিভাবে ব্যয়ন করেছে সে বিষয়ে কোনো হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে প্রশ্ন-উঠতে শুরু করেছে সেই অর্থ কি এবার এডিসি -র দায়িত্বে থাকা রাঘব বোয়ালরা গিলছে? না হলে এভাবে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে কিভাবে তারা বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছে গত দুই বছর ধরে!