স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুন : গত ৩ মে উচ্চ আদালতের সিঙ্গেল ব্যাঞ্চ ১০,৩১৯-র পক্ষে একটি রায় প্রদান করে। এই রায়ে উল্লেখ রয়েছে লকডাউনের সময়ে যে ম্যামোর মাধ্যমে টার্মিনেট করা হয়েছিল অর্থাৎ ২০২০ সালের ৩ মার্চ সরকারের ম্যামোকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে বাম আমলে শিক্ষা দপ্তরের আমলারা সকলের নাম ঢুকিয়ে যে নির্দেশের মাধ্যমে টার্মিনেট করা হয়েছিল সেই নির্দেশকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে।
এই রায়ের ফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে তাদের চাকুরিচ্যুত ঘটেনি। তারা নিজ নিজ কাজে বহাল রয়েছে। মঙ্গলবার এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ভবনে গিয়ে ১০,৩১৯- শিক্ষক শিক্ষিকারা উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকর্তার কাছে আবেদন জানান তাদের চাকুরি বহাল রাখার জন্য। এদিন বহু শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের আবেদন পত্র জমা দেন। গোটা প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ভবনে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। জানা যায় ইতিমধ্যেই ১০,৩২৩ থেকে ৪ জনকে বিজ্ঞান শিক্ষক হিসাবে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। এবার ১০৩১৯ জন চাকুরিচ্যুত শিক্ষকরা শিক্ষা দপ্তরের সামনে জমায়েত হয়ে তাদের চাকরি বহাল রাখার জন্য আবেদন জমা দেন। উচ্চ আদালতের রায়ের বিষয়ে অবগত করেন তারা।
তবে আদালত যদি সত্যিই এই রায় দিয়ে থাকে তাহলে অক্সিজেন পেয়েছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। এবং এ জল বহুদূর গড়াতে পারে বলে ধারণা করছে অভিজ্ঞ মহল। কারণ তারা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে তাদের চাকরি নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে দপ্তরের আমলাদের। তাই তাদের চাকরি যায় নি বলে দাবি । এখন দেখার তাদের ব্যাখ্যা নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞরা কি খোলাসা করেন।