স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুন : প্রতিদিন নানান অনুষ্ঠান করে রাজ্যের কিছু মানুষ দাবী করে তারা প্রগতিশীল। কিন্তু লজ্জার বিষয় হচ্ছে সমগ্র দেশের মধ্যে দ্বিতীয় রাজ্য ত্রিপুরা যেখানে বালিকা বিবাহের সংখ্যা বেশী। এই অভিশাপকে দূর করতে সকলকে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এখন জল সংরক্ষণ, বৃক্ষ রোপণ, স্বাবলম্বী করতে, বালিকা বিবাহ বন্ধ করার জন্য আন্দোলন প্রয়োজন। সকলকে চাকুরী দেওয়া সম্ভব নয়।
তাই তাদের স্বরোজগারী করতে সরকারী প্রচেষ্টা রয়েছে। কর্মচারীদের তাদের ছেলে মেয়েদের এই মানসিকতায় প্রস্তুত করতে হবে। তবেই সুন্দর সমাজ তৈরি হবে। রবিবার ত্রিপুরা রাজ্য কর্মচারী সংঘের অন্তর্গত পি ডব্লিউ ডি এমপ্লয়ীজ এন্ড ওয়ার্কার সংঘ ডিপার্টমেন্টাল ইউনিটের প্রথম দ্বীবার্ষিকী রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মন্ত্রী টিঙ্কু রায়। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে হয় এই সম্মেলন। কমিউনিস্টদের ধাঁচে সংগঠন চালালে চলবে না। দেশ যে ভাবে এগুচ্ছে। সেই ভাবে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আহ্বান জানান তিনি। দীর্ঘ ৩০ বছর যে কর্মসংস্কৃতি রাজ্যে চালু ছিল তাতে পরিবর্তন আনতে হবে। কাজের ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে কর্মচারীদের। পূর্বতন সরকারের আমলে চা বাগানের শ্রমিকদের জায়গা, বি পি এল কার্ড এবং স্কুল নির্মাণ করে দেওয়া হয়নি। কারন তারা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করত। কিন্তু বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছে। সরকার গরিব মানুষের জীবন পাল্টানোর জন্য কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী টিঙ্কু রায়।কর্মপন্থায় পরিবর্তন আনলেই বলা যাবে এই সংগঠন অন্য সংগঠনের চাইতে আলাদা। কমিউনিস্টরা গরীব বিষয়টিকে প্রকৃত অর্থে উপলবন্ধী করেনি। তাদের সমস্ত বড় নেতৃত্বদের সন্তান শিল্পপতি। এরা সবাই পুঁজিপতি। পতাকার রং নয় কাজের মাধ্যমে নিজেকে পৃথক করতে হবে বলে জানান মন্ত্রী টিঙ্কু রায়।