স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ মে : কৈলাসহরের কাউলিকুড়া গ্রামে বুধবার দুপুরে এগারো হাজার ভোল্টের পরিবাহী বিদ্যুতের তারের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো এক শ্রমিকের। মৃতের নাম মঞ্জির আলী। বয়স ৩২ বছর।
বাড়ি কৈলাসহরের পশ্চিম ইয়াজিখাওরা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নং ওয়ার্ড এলাকায়। মঞ্জির আলীর বড় ভাই পিয়ারী মিঞা জানান, কৈলাসহরের কাউলিকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিগত কিছু দিন ধরে এগারো হাজার বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের কাজ চলছিলো। পিয়ারী মিঞার নিজের ছোট দুই ভাই মঞ্জির আলী এবং মুমিন আলী কাউলিকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এগারো হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের কাজে বিগত কিছু দিন ধরে যুক্ত ছিলো। প্রতিদিনকার মতো বুধবার মঞ্জীর আলী এবং মুমিন আলী কাজ করতে যান। দুপুর নাগাদ কাজের ঠিকাদার মিহির শর্মা ফোন করে মঞ্জির আলী এবং মুমিন আলীকে জানায় যে, এগারো হাজার ভোল্টের লাইন শাটডাউন দেওয়ার জন্য। তারপর মঞ্জির আলী এবং পরে মুমিন আলী খুঁটিতে উঠা মাত্রই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মাটিতে দুইজনই পড়ে যায়। সাথে সাথেই দুইজনকেই ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকেই আগরতলায় রেফার করে দেয়। বড়ভাই পিয়ারী মিঞা সাথে সাথেই দুই ভাইকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আগরতলা রওনা হয়। কিন্তু কুমারঘাট যাবার আগেই মঞ্জির আলী মারা যায়।
সাথে সাথেই আবার ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জির আলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবং গুরুতর সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উনকোটি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে মুমিন আলী। পিয়ারী মিঞা জানান এই ঘটনার জন্য দায়ী ঠিকাদার মিহির শর্মা। এবং খবর শুনেও হাসপাতালে আসেনি ঠিকাদার। একবারের জন্যও ঠিকাদার খোঁজ খবর নেয়নি বলে মৃত মঞ্জির আলীর বড় ভাই পিয়ারী মিঞার অভিযোগ। এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ঠিকাদার মিহির শর্মার নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলেও জানান পিয়ারী মিঞা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়।