স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ জানুয়ারি : অবশেষে ৪৬ সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশিস দাসের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিল বিধানসভার অধ্যক্ষ। বুধবার বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। তিনি বলেন গত বেশ কয়েকমাস যাবত বিধায়ক আশিস দাসের আচার আচরণ ও দল বিরোধী কথাবার্তা এবং একটি রাজনৈতিক দলে প্রকাশ্যে যোগদান করার বিষয়টি বিধানসভার গোচরে আনেন মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়। একটি পিটিশন জমা দেন তিনি।
দীর্ঘ বিচার বিবেচনা ও আলোচনার পর এদিন এই সিদ্ধান্ত নেয় বিধানসভার অধ্যক্ষ। সংবিধানের বিভিন্ন দিক বিচার বিবেচনা করে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ৪৬ সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক আশিস দাসের বিধায়ক পদ অনুপযুক্ত বলে ঘোষণা করেন। অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী আরও জানান পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তার বিধায়ক পদ খারিজের কাগজ পত্র পাঠানো হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধি যেভাবে তার যোগ্যতা হারিয়েছেন সেটা বিবেচনা করেই নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এদিকে বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান অধ্যক্ষ। তবে দুই বিধায়কের বিষয় এক নয়। আশিস দাস একটি দলের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও ঔদ্ধত্বপূর্ণ কথা বার্তা, আচার আচরণ ও একটি রাজনৈতিক দলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে পতাকা নিয়েছেন, সরাসরি বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলি নির্বাচন কমিশন বিচার বিবেচনা করবে। যা পরবর্তী সময়ে আশিস দাসের জন্য সুখকর হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। এই সিদ্ধান্তের পরই আশিস দাসের বিধায়ক হিসাবে সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করার হবে বলে জানান অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। এদিন গ্যাজেট নোটিফিকেশন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি। এই সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হয়েছে।