স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ জানুয়ারি : আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, বেকার বঞ্চনা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চরম বঞ্চনা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বুধবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজভবন অভিযান হয়। এদিন রাজভবন অভিযান উপলক্ষে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান থেকে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলটি শুরু হওয়ার আগে প্রয়াত প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব মজিবর ইসলাম মজুমদারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে রাজভবন অভিযান শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং কর্মী-সমর্থকরা।
মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সুবল ভৌমিক জানান, রাজ্যবাসী চায় শান্তি সম্প্রীতি। কিন্তু শাসকদলের বাইক বাহিনী এতটা উন্মাদ হয়ে মানুষের উপর আক্রমণ করছে তাতে শান্তি-সম্প্রীতি নেই রাজ্যে। বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব মজিবর ইসলাম মজুমদারের উপর যেভাবে আক্রমণ করেছে তাতে উনার মৃত্যু হয়েছে বুধবার। কিন্তু মজিবর ইসলাম মজুমদার শহিদ হলেও শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে গেছেন। পাশাপাশি প্রয়াত নেতার উপর যেসব দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিলেন তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের সার্বিক সমস্যাগুলি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা আজ রাজভবন অভিযান করতে চলেছে। সারা রাজ্যে এক অরাজগতা, জঙ্গলে রাজত্ব চলছে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। ২০১৮ -তে সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সহ বেকার সমস্যার সমাধান এবং সরকারি কর্মচারিদের সপ্তম বেতন কমিশন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তার কোনোটাই পালন করছে না সরকার। এমনকি বর্তমানে এই সরকার মানুষের ভোটাধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিতে শুরু করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য রাজভবন অভিযান বলে জানান তিনি।
মিছিলটি সার্কেট হাউস সংলগ্নে এলাকায় আসতে পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের আহবায়ক সুবল ভৌমিক জানান রাজ্যপালের কাছে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন পর্যন্ত প্রদান করতে দেয়নি। এর তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। রাজ্যের বর্তমান সরকারকে মানুষের উপর ক্রমাগত আক্রমণ নামিয়ে আনছে। প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলে রাস্তার পাশে দোকানপাট ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বিগত সাড়ে তিন বছরে মানুষের উপর লাগামহীনভাবে সন্ত্রাস বেড়ে চলেছে। তাই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হচ্ছে যাতে এ ধরনের হামলা হুজ্জোতি বন্ধ করে। আগামী দিনে এই ধরনের হামলা হুজ্জোতি মানুষের উপর যদি কোনো ধরনের আচর আসে তাহলে রাজ্যের মানুষ তাদের ছাড়বে না। বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আশিস দাস জানান মা মাটি মানুষের সরকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। কারণ বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যে গণতন্ত্র দিন দিন হারাচ্ছে। শুধুমাত্র মানুষকে শোষণ করে চলেছে তারা। তাই এই আন্দোলন দিয়ে বার্তা দেওয়া হচ্ছে আগামী ২০২৩ সালে রাজ্যের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে সুশাসন পাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন আশিস দাস।