স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ মে : যতগুলি টিআরপিসি সেন্টার রয়েছে সেগুলি অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে আছে। এই সেন্টারগুলি পুনঃজীবিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার ত্রিপুরা রিহ্যাবিটেশন প্লান্টেশন কর্পোরেশন লিমিটেডে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন চেয়ারম্যান পাতাল কন্যা জমাতিয়া। পাতাল কন্যা জমাতিয়া জানান, রাবার চাষের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার জনজাতিরা স্ব-নির্ভর হতে পেরেছেন।
ত্রিপুরার অর্থনৈতিক কাঠামোকে তরান্বিত করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, টি আর পি সি কর্পোরেশন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা দরে রাবার কিনে নিত। তার দাম আরও কেজি প্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১ মে থেকে কেজি ১১০ টাকা করে সুবিধাধাভোগীদের কাছ থেকে রাবার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। সুবিধাভোগী কিংবা টি আর পি সি-র সঙ্গে অনেক স্টাফ অনেক সময় সঠিক সময়ে পেমেন্ট পান না। তাই এখন থেকে মাসের ৭-৮ তারিখের মধ্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান জানান, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ১২ শতাংশ ডি এ দিয়েছে। কিন্তু আর্থিক কারণে টি আর পি সি দিতে পারেনি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিছুদিন পরে তা এই ডি এ দেওয়ার। টি আর পি সি চেয়ারম্যান জানান, যেসব চুক্তিবদ্ধ, অনিয়মিত কর্মচারী রয়েছেন তাদের নিয়মিত করণের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী দিনে তাও করা হবে। রাবার প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র আরও বাড়ানো হবে বলেও তিনি এদিন ঘোষণা দেন। পাশাপাশি জানান, রাবার গাছ থেকে ফার্নিচার তৈরির জন্য একটি শিল্প বোধজংনগরে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাবারকে কেন্দ্র করে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও বিভিন্ন বিষয় তিনি তুলে ধরেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজার সন্তোষ দেববর্মা, ওয়েস্ট জোন ডেপুটি ম্যানেজার অভিজিত রায়, এম ডি সহ অন্যরা।