স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মে : ৪৮ ঘন্টা অতিক্রম হতে না হতেই আবারো গুন্ডাগিরিতে শীর্ষস্থান দখল করল পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। এবার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। খাকি উর্দি এবং লাঠি পুলিশকে যে দায়িত্ব পালনের জন্য দেওয়া হয়েছে তার অপব্যবহার করে চলেছে এই থানার একাংশ পুলিশ কর্মীরা। শুক্রবার আবারও মান ইজ্জত ভুলুন্ঠিত করেছে রাজ্য পুলিশের।
অভিযোগ শিল্পী দে নামে এক মহিলা পুলিশের বাড়িতে গত মঙলবার চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়। আর সেই চুরির মামলা অঘোষিতভাবে নিজে দায়িত্ব নিলেন অনভিজ্ঞ পুলিশ কর্মী শিল্পী দে। তিনি কবিরাজ টিলা এলাকার বাসিন্দা। কপাল গুনে রাজনৈতিক নেতাদের আশীর্বাদে রয়েছেন নাকের ডগায় কর্মরত। তাই বলে চোর ধরতে না পেরে এবার বাড়ির গৃহ পরিচারিকা প্রিয়াঙ্কা সাহাকে থানায় ডেকে এনে মারধর করল সেই মহিলা পুলিশ কর্মীর সঙ্গী সাথীরা। গৃহ পরিচারিকা মেয়েটির অভিযোগ মহিলা পুলিশ কর্মীর বাড়িতে চুরি হওয়ার পর শুক্রবার দুপুর বেলা প্রিয়াঙ্কাকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে থানায় আনে। তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রিয়াঙ্কাকে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এই চুরির ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে পুলিশকে জানালে তারপরও তাকে বেধড়ক মারধর করে শিল্পী দে নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ প্রিয়াংকা বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় বাড়ির লোকজনদের মনে সন্দেহে দানা বাঁধে।
দীর্ঘ ৩ ঘন্টা পর থানায় ছুটে আসে বাড়ির লোকজন সহ এলাকাবাসী। থানায় এসে দেখে প্রিয়াঙ্কাকে গুরুতর আহত করে থানার এক কোণে ফেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশকর্মীরা অসহায় গৃহ পরিচারিকা প্রিয়াঙ্কাকে হুমকি দেয় যদি থানা থেকে বের হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলে তাহলে তাকে থানায় আবারো ডেকে এনে মারধর করবে। শেষ পর্যন্ত প্রিয়াঙ্কাকে তার এলাকাবাসী উদ্ধার করে থানা থেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তী সময় এলাকাবাসী আবার এসে যখন থানায় প্রবেশ করে তখন গা ঢাকা দেয় গুন্ডাগিরির শীর্ষস্থান দখল করা মহিলা পুলিশ কর্মীরা। এদিনের ঘটনা আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছে যাদের হাতে মহিলাদের সুরক্ষার দায়িত্ব তারাই এখন শহরের প্রাণকেন্দ্রে বসে মহিলা নির্যাতন করছে। এ বিষয়ে পুলিশের শীর্ষস্তরের আধিকারিকরা অবগত রয়েছে কিন্তু কোন ভুরুক্ষেপ নেই বলাই চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম থানা এক বাইক আরোহীকে কিল ঘুষি দিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এই ধরনের অভিযোগ আবারো উঠে আসায় জনমনে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে। এই ধরনের কতিপয় মেরুদন্ডহীন পুলিশ কর্মীর জন্য গরিমা হারাচ্ছে রাজ্য পুলিশ।