স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ মে : চরম অব্যাবস্থার মধ্য দিয়ে সোনামুড়ায় উদযাপিত হলো ১৬২ তম রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত মহকুমা ভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে এসে ক্ষোভে অপমানে রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদানের পর আচমকাই মঞ্চ ছেড়ে চলে যান বিধায়ক কিশোর বর্মন। স্থানীয় রবীন্দ্র চৌমুহনীতে আয়োজিত প্রভাতী অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরী করা থেকে লোকসমাগম সবেতেই ছিল চরম অব্যবস্থার নজির।
অভিযোগ, মহকুমা ভিত্তিক এই অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের তরফ থেকে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। আর রবীন্দ্র চৌমুহনীর প্রভাতী অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরির দ্বায়িত্ব নিজের কাঁধে তোলে নেন নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান।অনুষ্ঠানে এসে সেই মঞ্চ প্রত্যক্ষ করেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন বিধায়ক। নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত কয়েকজন কমিশনার আর অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে আসা শিল্পীরা ছাড়া অনুষ্ঠান স্থলে লোক সমাগম ছিল না বললেই চলে। তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন উদ্বোধন করতে আসা বিধায়ক। সুতরাং নজির গড়লেন সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ।
এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। একে অপরের উপর দোষ চাপানোর মত বিষয়ও এই দিন লক্ষ্য করা গেছে। নগর পঞ্চায়েত দোষ চাপাচ্ছেন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উপর। আর দপ্তর বলছে লোক সমাগম করা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তাদের নয়। তবে বিধায়ক গাড়িতে উঠার সময় বলছিলেন দপ্তরে বসে বসে তেল হয়ে গেছে। প্রশাসনিক কর্মীদের বহু প্রচেষ্টায় তিনি আর ফিরেন নি অনুষ্ঠান স্থলে। তবে যাই হোক এই অব্যবস্থাপূর্ণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে অন্তত অনুষ্ঠানের মান রক্ষা করেছেন মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস, বিশিষ্ট সমাজ সেবক দেবব্রত ভট্টাচার্যী, বিশ্বজিৎ দাস, নগর ভাইস চেয়ারপার্সন শাহজাহান মিঞা প্রমুখ।