স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জানুয়ারি : এ কেমন প্রশাসন! গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার। কিন্তু জোর যার মুলুক তার। রাজ্য প্রশাসন নিজেদের দোষ ঢাকতে এবার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো অবস্থা সৃষ্টি করলো। যার নজির গড়ল আরো একবার। সোমবার ত্রিপুরা হাইকোর্ট চত্বরে। আদালতের দ্বারস্থ হতে গিয়ে গ্রেফতার হতে হলো টি এস আর -এর নিয়োগ তালিকা থেকে বঞ্চিত বেকার যুবক যুবতীদের।
সোমবার অর্ধশতাধিক বেকার যুবক যুবতী চাকুরির তালিকা প্রকাশের দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ দিয়ে তাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আদালতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বেকার যুবক যুবতীরা এই দিন পুলিশের কাছে হাতজোড় করে বলে তারা কোন বিক্ষোভ প্রদর্শন বা রাস্তা অবরোধ করতে আসেনি। তার এসেছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আইনের সাহায্য নিতে। চাকুরি কেন হয়নি এবং মোটা অংকের বিনিময় চাকরি হয়েছে অনেকের বলে অভিযোগ। কারণ তারা শারীরিক পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষায় পাশ করেও চাকরি পায়নি তা পেছনে কী রহস্য রয়েছে তা উদঘাটনের জন্য মামলা করতে এসেছে বলে জানান বঞ্চিত যুবক-যুবতীরা। কিন্তু তাদের মামলা করতে দেওয়া হবে না তা এক প্রকার চূড়ান্ত করে নিয়েছে। তবে কেন মামলা করতে দেওয়া হবে না, তার কোন খোলাসা হয় নি। এদিন বঞ্চিত যুবক-যুবতীরা হাইকোর্ট চত্বরে আসতেই তাদের পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে নেওয়া হয়। বঞ্চিত বেকার যুবক-যুবতীরা হাত জোড় করে পুলিশকে অফিসারদের প্রশ্ন করেন কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ বঞ্চিত যুবক-যুবতীদের কোন জবাবই দিতে পারেনি। যুবক-যুবতীরা বলে তারা কোন বিক্ষোভ প্রদর্শন বা অবরোধ করতে আসেনি বলে জানান। তারা এসেছে হাইকোর্টে মামলা করতে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো বিচারপতির সাথেও দেখা করতে দেওয়া হবে না। অনেক দূর থেকে মা-বাবার কাছ থেকে বেকার যুবক যুবতীরা গাড়ি ভাড়া নিয়ে মামলা করতে এসেছিল। কিন্তু মামলা তো দূরের কথা বিচারপতির সাথে পর্যন্ত দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এতে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বঞ্চিত বেকার যুবক-যুবতীদের মধ্যে।