স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ মে : খেলাধুলা- লেখাপড়ায় কোন অংশে কম নয় আমাদের ছেলে- মেয়েরা। সমাজকে ঠিক রাখার দায়িত্ব নিতে হবে এন এস এস স্বেচ্ছা সেবকদের। বুধবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এন এস এস -এর রাজ্য শাখার উদ্যোগে আয়োজিত নেশা মুক্ত ত্রিপুরার কর্মশালা এবং রক্তদান শিবিরে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
১৯৬৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে এন এস এস প্রকল্পের সূচনা হয়। এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ঘটে। তারা সাধারণ মানুষ থেকে অনেকটাই আলাদা হয়। সমাজ এবং দেশের জন্য তারা দায়বদ্ধ হয়ে দায়িত্ব পালন করে। তিনি বলেন দেশ গড়ার জন্য যুবক যুবতীরাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই এন এস এস -এর অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা আগামী দিনে দেশ গড়ার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে আরো বলেন, রক্তের বিকল্প নেই। একজন মুমূর্ষ রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়া চেয়ে বড় কোনো উপহার হতে পারে না।
আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে রক্তদান শিবিরে বড় ভূমিকা পালন করে তার জন্য আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড্রাগস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এর প্রসঙ্গ টেনে বলেন ভালো- মেধাবি ছেলে- মেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন জাতীয় সেবা প্রকল্পের স্বেচ্ছা সেবকদের বিশাল দায়িত্ব নিতে হবে কেউ যাতে নেশা না করেন। নেশার বিরুদ্ধে সকলকে গর্জে উঠার আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। নেশা নিয়ে আগামী দিনে আরও বেশি করে সচেতনতা কর্মসূচী গ্রহণ করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, আসামের পরে ত্রিপুরায় সবচেয়ে বেশি ড্রাগস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। স্কুলের সামনে দোকানে বিক্রি হচ্ছে নেশা সামগ্রী। সেই দোকানের মালিকদের ধরে মূল পান্ডাকে জালে তুলতে হবে পুলিশের। এর জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা নেশায় ভুগছে তারা আসলে ভিকটিম নয়। মূল দোষী হল যারা নেশা সামগ্রী বিক্রি করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ক্রীড়া মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, দপ্তরের সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান শিবির পরিদর্শন করে রক্তদাতাদের উৎসাহিত করেন।