Tuesday, June 17, 2025
বাড়িরাজ্যদেশের সরকার পরিবর্তনের জন্য সংগ্রামী নেতৃত্ব দিতে পারে শ্রমিকরা : মানিক

দেশের সরকার পরিবর্তনের জন্য সংগ্রামী নেতৃত্ব দিতে পারে শ্রমিকরা : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ মে :  দেশে যখন শ্রমিকরা তাদের দাবি দেওয়া নিয়ে এবং পুঁজিবাদীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামছে তখন তারা যাতে বেশি সংখ্যক সঙ্ঘবদ্ধ হতে না পারে তার জন্য জাত, পাত, ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের কথা বলে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এটা করেও যখন আন্দোলন রুখতে পারছে না, তখন গণতন্ত্র ও সংবিধানের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে। এবং বিজেপি সংসদীয় গনতান্ত্রিক ব্যবস্হার উপরেও আক্রমণ করার চেষ্টা করছে।

 সারাদেশে প্রহসণ চলছে। ভোট হলে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারছে না। রেগিং করে সরকার টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এর সাথে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্যাসিস্ট সুলভ চিন্তা ভাবনা। এর বিরুদ্ধে শুধু সমালোচনা করলে চলবে না। তাই এই সরকারকে উৎখাত করতে এবং ক্ষমতাচ্যুত করতে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এতে নেতৃত্ব দেবে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ। কিন্তু শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ যদি মাটিতে পা না ছুঁয়ে স্বপ্নে বিভোর হয় তাহলে ভুল হবে। কারণ শ্রমিক শ্রেণীর মানুষকে ছাড়া এককভাবে এ লড়াই সম্ভব নয় বলে জানান পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার। সংবাদ ১ মে উপলক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবসে রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় আয়োজিত বামেদের সভায় তিনি আরো বলেন, শ্রমিকদের শুধু ৮ ঘন্টা শ্রম, ৮ ঘন্টা বিনোদন এবং ৮ ঘন্টার বিনোদনের চিন্তা ভাবনায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। মূল লক্ষ্য হতে হবে নীতিবাদী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে না পারলে এবং শ্রেনী শোষণ ও শ্রেণী বিভাজন বন্ধ করতে না পারলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলে জানান শ্রী সরকার।

 তিনি আরো বলেন ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। আর এই সংগ্রাম করতে গেলে বিজেপি -কে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। গরিব শ্রমজীবী অংশের মানুষের স্বার্থে সরকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে এই এগিয়ে যেতে হবে। না হলে ত্রিপুরার শ্রমিকরা পর্যন্ত শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন পুলেটব্যরোর সদস্য। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনা করে পুলেটব্যরোর সদস্য বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শ্রমজীবী অংশের মানুষ। রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামতে পারছে না, শ্রমিকদের মাঠে ফসল কটতে দিচ্ছে না, পুকুরে বিষ ঢেলে দিচ্ছে, রাবার বাগান পুড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি যে পশু পালন করে মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয় সেই পশুগুলোতে পর্যন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছে। এটাই ফ্যসিস্ট সুলভ আক্রমণ নয় তো কি? শুধু তাই নয় মানুষকে পর্যন্ত ঘর ছাড়া করেছে। যারা বাড়িতে ফিরতে চাইছে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করছে।

 না হলে বসত ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করছে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেন, দশ মাস আগে থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরাতে মাটি কামড়ে পড়েছিল। তারপরও বিজেপির আসন সংখ্যা এবং ভোটের হার ২০১৮ সাল থেকে কমেছে। এটা বিজেপির প্রত্যাশা ছিল না। শ্রী সরকার তিপরা মথা দলের নাম উল্লেখ না করে বলেন তারা যদি পৃথকভাবে আসন না দিত তাহলে বিজেপি সরকারে আসতে পারতো না। এভাবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার। আয়োজিত সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে, সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!