স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ এপ্রিল : আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ -এর প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয় বাংলা নতুন বছর। নববর্ষের আগমনী বাঙালিরা খুব আনন্দের সাথে এই দিনটি কাটায়। ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে বাংলাভাষী লোকেরা এই দিনটিকে বারো মাসে তেরো পর্বণের একটি উৎসব বলে মনে করেন। বাঙালিরা ঐতিহাসিক বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে এদিন সকালবেলা স্নান করে ধনদেবী লক্ষ্মী এবং গণেশ পূজা অর্চনা করেন।
ব্যবসায়িরা নতুন বছরে নতুন খাটা খুলে ব্যবসার মঙ্গল কামনা করেন। আবার কিছু কিছু জায়গায় সাংস্কৃতি সংগীত, নাচ গান হয়ে থাকে। তবে ত্রিপুরায় বিশেষ করে এটি নববর্ষ হিসেবে পরিচিত। এবং এই দিনটি মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে আয়োজিত হয়। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যায়নি দোকানে দোকানে হাল খাতা রাখার রীতি। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে লক্ষীনারায়ণ মন্দিরে এদিন সকাল থেকেই চলে হালখাতার যাত্রা করানো। ছোট- বড় সকল ব্যবসায়ী হাল খাতা পুরোহিতদের কাছে যাত্রা করাতে নিয়ে আসেন লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে। বর্তমান যুগে হিসেব নিকেশ রাখার জন্য কম্পিউটার, ল্যাপটপ রাখা হলেও হালখাতার কদর একেবারে কমে যায়নি।
এসবের মাঝেও পরম্পরাগত ভাবে চলে আসা হাল খাতা বাংলা নববর্ষের দিনে পূজা দিয়ে দোকানে রাখেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের সঙ্গে লেনদেনের সমস্ত হিসেবই এই হালখাতায় রাখা হয়। হালখাতায় এদিন ধনদেবী লক্ষ্মী এবং গণেশের বন্দনা করে মঙ্গল কামনা করেন পুরোহিতরা। এদিন সকাল থেকেই ছিল ব্যবসায়ীদের ভিড়। শুধু লক্ষী নারায়ন মন্দিরে নয়। অন্যান্য মন্দিরও যেদিন লক্ষ্য করা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের ভিড়।