স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ ডিসেম্বর : রক্তদান মানে সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা। প্রসাশন ও সমাজ একে অপরের পরিপূরক। রক্তদান মহতি উদ্যোগ। রক্তের বিকল্প নেই। বুধবার গোর্খাবস্তি স্থিত পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে রক্তদান শিবিরে একথা বলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
প্রতিদিন ৩৮ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। প্রতি ২ সেকেন্ডে একজন রোগীর রক্তের প্রয়োজন। ত্রিপুরা রাজ্যেও রক্তের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান কম। বিশেষ করে থ্যালাসিমিয়া রোগী, ক্যানসার রোগীর জন্য প্রয়োজন হয় রক্তের। কারোর প্রয়োজনে রক্ত দিতে পারলে মনে তৃপ্তি আসে। আর দিতে না পারলে মনে অতৃপ্তি থেকে যায় বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। যারা আজ রক্ত দিচ্ছে তারা মহৎ কাজ করছে। তাই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদানে এগিয়ে আসতে হবে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ধন দৌলত কিছুই কাজে আসে নি। করোনার সময় বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজ্য ও দেশ। আগামীদিনে ক্রীড়া দপ্তরের সাথে কথা বলে ক্লাব ফোরামের মাধ্যমে প্রত্যেক ক্লাবে রক্তদান করা হবে। রক্তদানে বিরোধী দলের ভূমিকা রয়েছে রাজ্যে। বর্তমান সরকার সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাইছে। আর উনার অধীনে ৩ টি দপ্তরকে রক্তদান শিবিরে কথা বলা হয়েছে। আগামীদিনে আরো বড় পরিসরে রক্তদান শিবির করার জন্য আহ্বান জানান সুশান্ত চৌধুরী। কোভিড নিয়ে যাতে কেউ গাফিলতি না করে। তবে রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। ১ জানুয়ারি থেকে এনফোর্সমেন্ট শুরু হবে। রাজ্যে ওমিক্রন নেই বলে ওমিক্রন রাজ্যে আসবে না তা ভাবা ঠিক নয়। সুতরাং সকলকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান সুশান্ত চৌধুরী।