স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ এপ্রিল : আইএমএ ভারতবর্ষের একটি সর্ববৃহৎ ডাক্তারের সংস্থা। আইএমএ সর্বদা জনস্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে এবং সরকারের সাথে মিলে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যকলাপ সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে পারে সেই দিশাতে কাজ করছে। প্রত্যেক বছরের মতন এ বছরও আই এম এ রাজ্য শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো পেশাদার মর্যাদার সাথে হোলিস্টিক হেলথ কেয়ার। এই সম্মেলননের নাম টি.আর.আই.এম.এ.সি.ও.এন ২০২৩। শনিবার আই এম এ হাইসে ৫৩ তম অল ত্রিপুরা মেডিকেল কনফারেন্সের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য শাখার সভাপতি ডক্টর দামোদর চ্যাটার্জী, সেক্রেটারি ডঃ অমর কান্তি চাকমা, জয়েন্ট সেক্রেটারি ডক্টর প্রিয়জ্যোতি চাকমা এবং টি.আর.আই.এম.এ.সি.ও.এন ২০২৩ অর্গানাইজিং চেয়ারপারসন ডঃ অভিজিৎ দত্ত এবং অর্গানাইজিং সেক্রেটারি ডক্টর রাজীব দেবনাথ সহ অন্যান্য চিকিৎসকেরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন কোভীড পরিস্থিতিতে ১২৪ জন চিকিৎসককে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে বড় অক্সিজেন প্ল্যন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ক্যাডার স্ট্রেন্থ ছিল ১৪৮০। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২১৭০ করা হয়েছে। ডেন্টাল সার্ভিসে ক্যাডার স্ট্রেন্থ ছিল ৮১। তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২৩ করা হয়েছে। রাজ্যে এইমস-র ধাঁচে হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমতলিতে নিউ ফার্মেসি ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৪ টি নতুন নার্সিং ইনস্টিটিউট করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগী বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন সায়েন্টিফিক সেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন সম্ভব। রাজ্যে বড় বড় সার্জারি হচ্ছে। আস্থা অর্জন করতে হবে। তবেই বহিঃ রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা অনেকটা হ্রাস পাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরিসংখ্যান আরো কমাতে হবে বলে জানান তিনি। রবিবার বিভিন্ন ধরনের সাইন্টিফিক ইভেন্ট রয়েছে। যেখানে প্রায় ১৫ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ছাত্ররা তাদের বিভিন্ন ধরনের রিচার্জ মূলক পেপার প্রেজেন্ট করবে এবং ১৪ টা পোস্টার প্রেজেন্ট করবে। এই অনুষ্ঠানে আই এম এ অ্যাওয়ার্ড এবং আই.এম.এ সম্মাননা দেওয়া হবে I গঠিত হবে আইএম ত্রিপুরা রাজ্য শাখা একটি নতুন পরিচালনা কমিটি।