স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ এপ্রিল : সংবাদের জেরে কৈলাসহর থানার পুলিশ অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল মঈন উদ্দিনকে সহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। পুলিশের হাতে পুলিশ ধরা পড়ার দৃশ্য দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান। উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ কৈলাসহরের নুরপুর গ্রামে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে কৈলাসহরের উদিয়মান ক্রিকেটার জামিল আহমেদ বক্সকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ কনস্টেবল মঈন উদ্দিন সহ কয়েকজন। ঘটনার সূত্রপাত এদিন ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে।
খেলার সময় জামিল আহমেদ বক্স নিজে বোলিং করে আউট করে দেয় বিপক্ষ দলের মঈন উদ্দিন নামের এক খেলোয়াড়কে। মঈন উদ্দিনের বাড়িও রাজদরপুর গ্রামে। মঈন উদ্দিন ত্রিপুরা পুলিশে কর্মরত। মঈন উদ্দিন আউট হবার পর জামিল আহমেদ বক্সকে বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকি জামিলকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে নিজের জীবন বাচাতে জামিল দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে জামিলকে দৌড়ে নিয়ে পুকুরের জলে ফেলে দিয়ে মাথায় চাপ দিয়ে জলের নীচে রেখে প্রানে মারারও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে গ্রামবাসী এবং জামিলের আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে এসে জামিলকে উদ্ধার করে। ঘটনায় জামিল সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। ঘটনার সাথে সাথেই জামিলকে চিকিৎসার জন্য কৈলাসহরের রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
৩০ মার্চ রাতে জামিলের অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিলকে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেয়। মঈন উদ্দিন ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে জামিলের কোমড়ে এবং ডান হাতে বেধড়ক মারধর করায় গুরুতর আঘাত লাগে। গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় কৈলাসহর থানায় পুলিশ কনস্টেবল মঈন উদ্দিন সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে লিখিত মামলা দায় করতে গেলে পুলিশ মামলা রেজিস্টার করেনি। তারপর খবরটি সংবাদ মাধ্যমে আসতেই নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। সোমবার জেলা পুলিশ সুপার কান্তা জাংগীরের নির্দেশে কৈলাসহর থানার পুলিশ মামলাটি রেজিস্ট্রি করে বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মঈন উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন এবং মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ধৃত তিনজনের বাড়িই কৈলাসহরের লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে রাজদরপুর গ্রামে। পুলিশ তিনজনকেই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছে। এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ জানান, পুলিশ কনস্টেবল মঈন উদ্দিন সহ সাহাব উদ্দিন এবং মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে করা হয়েছে।