Sunday, March 16, 2025
বাড়িরাজ্যদোকান খুলতে না দেওয়ায় পরিবারকে নিয়ে অনশনে বসলেন ব্যবসায়ী

দোকান খুলতে না দেওয়ায় পরিবারকে নিয়ে অনশনে বসলেন ব্যবসায়ী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ এপ্রিল : বিধানসভা ভোট ফলাফলের পর সন্ত্রাসীরা দোকান খুলতে না দেওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পরিবারকে নিয়ে এক ব্যবসায়ী আমরণ অনশনে বসেন। এই ব্যবসায়ী প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। চড়িলাম মন্ডলের মাইনরিটি মোর্চার প্রাক্তন সদস্য এই আনোয়ার হোসেন।

ভোট ফলাফলের পর তার দোকানে বাড়িতে বহুবার বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তরা আক্রমণ সংগঠিত করেছে। তাই অতিষ্ঠ হয়ে বাজারে নিজ দোকানের সামনেই গলায় প্লে কার্ড ঝুলিয়ে আমরণ অনশনে বসেন এই ব্যবসায়ী। আমরণ অনশনে তার সঙ্গে শামিল হয়েছে শিশু কন্যা, পিতা মাতা সহ সহধর্মিনী। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানান, দোকান খোলার জন্য সুযোগ দেওয়া জন্য। এলাকায় মন্ডল নেতার উপদ্রবে সে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। পরবর্তী সময় অসহায় আনোয়ার হোসেন জানান বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তার উপর ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি’র গুন্ডরা। এমনকি দোকান পর্যন্ত তাকে খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। গত ২৯ মার্চ দোকানটি খোলার পর তার দোকান বন্ধ করে দেয় বিজেপির দুর্বৃত্তরা। তাকে বলে কেন সে মন্ডল অফিসে না জানিয়ে দোকান খুলেছে ? পরবর্তী সময় লিখিতভাবে মন্ডল অফিসে জানান তার মাতৃ মঙ্গল হার্ডওয়ার দোকানটি যেন খুলতে দেওয়া হয়। কিন্তু ৫ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেল তার দোকানটি খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। সোমবার পুনরায় দোকান খুলতে এসে দেখেন আনোয়ার দোকান যাতে খুলতে না পারে সেই জন্য সবগুলি তালা নষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তার নুন আনতে পান্তা পোড়াচ্ছে।

আবার চৈত্র মাস। বহু মানুষ ঋণ নেওয়ার কারণে টাকা পায়। এবং সেই টাকা দিয়ে চৈত্র মাসে দেনা মেটাতে হবে বলে জানান অসহায় ব্যবসায়ী। আরো জানান এলাকার মন্ডল কমিটির সদস্য এবং হজ কমিটির সদস্য ছিল সে। সে মন্ডল নেতা থাকাকালীন সময়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করায় বহিস্কার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বারো দিন জেল খাটায় বলে অভিযোগ। নির্বাচনের দশ দিন আগে বিজেপি দল ত্যাগ করে সিপিআইএমে যোগ দেওয়ার তার অপরাধ হয়ে গেছে। এমনটাই মনে করছেন তিনি। কিন্তু কাঠ ফাটা রোদে ঘন্টার পর ঘন্টা শিশুর কন্যা বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে দোকানের সামনে বসে থাকলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ আসেনি খোঁজখবর নিতে। নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে স্থানীয় থানা বাবুরা। হয়তো থানা বাবুরাও এলাকার বিচার ব্যবস্থা ছেড়ে দিয়েছে মন্ডল অফিসের হাতে। না হলে এ ধরনের নজিরবিহীন ঘটনা হয়তো হতে পারে না বলে মনে করছে পথচারীরা। এ ধরনের নৈরাজ্যের ফলে মুখ পুড়ছে পুলিশ প্রশাসনের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য