স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ এপ্রিল :আগামী ৪ এপ্রিল থেকে ১১ দিন ব্যাপী চৈত্র মেলা শকুন্তলা রোড ও ওরিয়েন্ট চৌমনী থেকে জ্যাকসন গেট এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। ৫৩৮ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে চৈত্র মেলায় অংশ নিতে সুযোগ দেওয়া হবে। শনিবার পুর নিগমের কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে গিয়ে পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান, গত বছর থেকেই পুর নিগম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চৈত্র মাসে ব্যবসা করার জন্য বিনা পয়সায় বসার জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এবছরও চৈত্র মেলায় যারা ব্যবসা করতে আসবেন তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের অর্থ রাশি গ্রহণ করবে না পুর নিগম কর্তৃপক্ষ। উপরন্ত সাফাই সহ যাবতীয় সহযোগিতা করবে পুর নিগম।
এ প্রসঙ্গে সকলকে সতর্ক করে দেন মেয়র। তিনি আরো বলেন গত বছর অভিযোগ মিলেছিল একটি দুষ্ট চক্র একাংশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কিছু টাকা পয়সা আদায় করেছে। অবশ্য এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে সরাসরি কেউ কারো নাম জানায় নেই। এবছর প্রত্যেককে আগাম ও সতর্ক করে দিয়ে নিগমের মেয়র বলেছেন কোথাও কোন ধরনের টাকা-পয়সা আদায়ের চেষ্টা করা হলে তারা যেন সরাসরি মেয়র কর্পোরেটর সহ নিয়মের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাহলে সেই দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে নিগম কর্তৃপক্ষ। কারণ বহু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছে যারা দোকান খুলে ব্যবসা করার জন্য। সুতরাং এ ধরনের দুষ্ট চক্রদের কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মেয়র।
তিনি আরো বলেন অবৈধভাবে কেউ রাস্তা ব্যয় দখল করে বসতে পারবে না। কিন্তু যাদের হকার লাইসেন্স রয়েছে তাদের বসার জন্য জায়গা করে দেওয়া হবে। কিন্তু বিগত বছর দেখা যাচ্ছে কিছু বড় বড় ব্যবসায়ী তাদের দোকানের কর্মচারীদের দিয়ে রাস্তা বেদখল করেছিল। এবছর যদি কোন বড় ব্যবসায়ী দোকান থাকার সত্ত্বেও রাস্তা বেদখল করার চেষ্টা করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চৈত্র মেলার পর কেউ যদি রাস্তা বেদখল করে ব্যবসা করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নেশা সামগ্রী বিক্রির প্রসঙ্গে মেয়র জানান, ফাস্টফুডের নাম করে আগরতলা শহরের জনবহুল রাস্তায় যারা ব্যবসা করে তাদের চারটি চাক্কা ভান্ডারের মধ্যে লাগাতে হবে। বিশেষ করে রাত দুটো, তিনটে পর্যন্ত কিছু কিছু ভেন্ডার নিয়ে ব্যবসায়ী নেশার করিডোর করে রাখে আগরতলা শহরকে। তাই এই নেশার করিডোর বন্ধ করতে সকাল ১১ টার পর আগরতলা শহরে ভেন্ডার নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে ব্যবসায়ীরা এবং রাত এগারোটার পর শহরে রাস্তায় কোন ভ্যানডার থাকতে পারবে না। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা ভেন্ডার লাইসেন্স নিয়ে রাস্তার পাশে অধিক জায়গা করে টেবিল চেয়ারে বসিয়ে মানুষের কাছে খাবার বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।