স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ এপ্রিল :৩৩ টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় দ্বিতীয়বারের মতো ফিরেছে ভারতীয় জনতা পার্টি ও আইপিএফটি জোট সরকার। কিন্তু এর মধ্যে সরকার গড়ার মূল শক্তি ভারতীয় জনতা পার্টি মাত্র ৩২ টি আসন পেয়েছে। এবং বহু বিধানসভা কেন্দ্রে লক্ষ্য করে গেছে কম মার্জিনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয়েছে ডাইনি খোঁজার কাজ।
দলে থেকে জমির দালালি থেকে শুরু করে বহু বেআইনি কার্যকলাপ করায় গত পাঁচ বছরে একদিকে যেমন আসন সংখ্যা বিজেপির কমেছে, অপরদিকে বিধায়কদের জয়ের জন্য ভোট ব্যবধান ২০১৮ সাল থেকে কমেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিধানসভা কেন্দ্র হলো ১৮ সূর্যমনি নগর। এলাকার বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল ২০১৮ সাল থেকে অনেক কম ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে। তারপরেই এলাকায় শুরু হয়েছে কলা কৌশল কারি নেতাদের খোঁজ। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বের হয়ে এসেছে সাপ।
ফলে চাপে পড়ে পদ ছাড়ছেন অনেকে। শনিবার ডুকলী ব্লকের বিডিও স্বরূপ কুমার পালের কাছে পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য চেয়ারম্যান অজয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করেন। অতিসত্বর নতুন চেয়ারম্যানের আবেদন জানিয়ে এই ডেপুটেশন প্রদান করেন তারা। ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের সমস্ত উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্তক্রমে কার্যকর করত। কিন্তু মাঝে চেয়ারম্যান অজয় কুমার দাস আলোচনা ছাড়াই মর্জি মাফিক কাজ চালিয়ে করছিলেন। এই কারনে পঞ্চায়েতের সদস্য সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপ প্রধান তাঁর উপর অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। ব্যক্তিগত ভাবে কাজকর্ম করার প্রচেষ্টা ছিল চেয়ারম্যানের। এই নিয়ে এক প্রকার নাটক মঞ্চস্থ করেন অজয় কুমার দাস। চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফাও দেন। তাই তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করা হয়েছে বলে জানান তারা। আগামী দিনে দলগত ভাবে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা কার্যকর হবে বলে জানান অনাস্থাকারীরা।