স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩১ মার্চ : বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল নাথ বিধানসভা অধিবেশনে বসে অশ্লীল ভিডিও দেখার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল ঘোলা হচ্ছে। প্রায় ৪৮ ঘন্টা পড়তে চললেও এখন পর্যন্ত বিধানসভার অধ্যক্ষ ও সচিবের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করতে পারছে না আপামর জনগণ। এর মধ্যেই কলকাতা থেকে রাজ্যে ফিরে যাদব লাল নাথের অশ্লীল ভিডিও দেখার বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিকৃত মস্তিষ্ক বললেন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন।
তিনি বলেন মেয়ের অসুস্থতার কারণে বিধানসভা অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তারপরেও বিধানসভা অধিবেশনের দিকে তাঁর নজর ছিল। বিধানসভা অধিবেশন শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা বক্তব্য রেখে বলেছিলেন যাতে বিধানসভায় গড়িমা রক্ষা করা হয়। এবং শ্রীবৃদ্ধি যাতে করা যায়। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত বিধানসভায় এরকম একটি নোংরা কলঙ্কময় অধ্যায় যে রচিত হবে এটা কেউ কোনদিনও দুঃস্বপ্নেও ভাবে নি। পাশাপাশি বলেন, বিধানসভা অধিবেশনে রতন বাবুর কাছে খবর ছিল এ ধরনের ভিডিও ক্লিপিং যাদব লাল নাথ দেখেন। না হলে এত বিধায়কের মধ্যে কেন রতন বাবু যাদব লাল নাথের কথা বলেছেন। রতন বাবুর এই ইঙ্গিতে কেউ না কেউ ক্যামেরা বন্দি করেছেন। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে এই ঘটনার পর এতদিন হয়ে গেলেও বিকৃত মস্তিষ্ক বিধায়কের নৈতিকতা বোধ নেই। সমালোচনা করে শ্রী বর্মন আরো বলেন একই পার্টির বিধায়ক দ্বারাই দেশের অন্যান্য রাজ্য এই ঘটনাগুলি ঘটছে। বিধানসভায় পবিত্রতা নষ্ট করে দিচ্ছেন তারা। ত্রিপুরা রাজ্যে এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমস্ত বিধায়ক অপমানিত এবং কলঙ্কিত।
শ্রী বর্মন বলেন, যাদব লাল নাথ প্রথমবার বিধায়ক হয়ে বিধানসভা অধিবেশনে এসেছিলেন। অধিবেশন কিভাবে চলে সেই বিষয়ে জেনে আসা ভালো ছিল এই বিধায়ক মশায়ের। বিশেষ করে যখন তিনি এ ধরনের অশ্লীল ভিডিও দেখছিলেন তখন অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। কিন্তু সেই আলোচনার দিকে লক্ষ না রেখে তিনি মগ্ন ছিলেন এই অশ্লীল ভিডিও -র দিকে। মানসিক বিকৃতির পরিচয় দিয়েছেন যাদব লাল নাথ। এবং এখন পর্যন্ত দেখা গেল না পদত্যাগ করে নৈতিকতার দৃষ্টি আকর্ষণ করার। সবচেয়ে বেশি লজ্জার ও হতাশের বিষয় হলো মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বিধানসভার সচিব থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাই যাদব লাল নাথের কাছে দাবি করা হচ্ছে এক্ষুনি তিনি পদত্যাগ করার জন্য। যে বার্তা দিয়েছেন তাতে বিধানসভার প্রত্যেক বিধায়ককে লজ্জিত করেছেন এবং বিধানসভার পবিত্রতা নষ্ট করেছেন বলে জানান যাদব লাল নাথৈর উদ্দেশ্যে সুদীপ রায় বর্মন। শ্রী বর্মন আরো বলেন যাদব লাল নাথ বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েতের কাজের লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির জন্য বহিস্কৃত হয়েছিলেন। সুতরাং এই বিধায়কের মধ্যে যে এধরনের কু-অভ্যাস রয়েছে তা আবারও স্পষ্ট করা গেছে। সুতরাং বিধানসভার অধ্যক্ষ স্থির করবেন আগামী দিনে বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ দিয়ে অধিবেশনে চলবে কিনা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যাদের দ্বারা আইন রচনা হয় তারা নাগরিকদের কাছে কি বার্তা দেবে!