Sunday, February 9, 2025
বাড়িরাজ্যগ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড কিভাবে হবে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা

গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড কিভাবে হবে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ডিসেম্বর : ত্রিপুরাল্যান্ড এখনো হয় নি, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড কিভাবে হবে প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড বলে জাতি ও উপজাতির ঐক্য ভাঙতে চক্রান্ত চলছে। যে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড বলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তিনি জনশিক্ষা সমিতির আন্দোলনের আঁতুড়ঘরের ধ্বংস করার জন্য যে বাড়িটি থেকে চক্রান্ত হয়েছিল সেই বাড়ির সন্তান।

আপাতত দৃষ্টিতে তিনি একজন জেন্টেলম্যান। আসলে তারা শ্রেণী চেতনা থেকে এখনো মুক্ত নয়। তাই দল-মত নির্বিশেষে সমস্ত উপজাতিকে এক হতে বলছেন। সোমবার টাউন হলে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনকে ইঙ্গিত করে জনশিক্ষা দিবস উদযাপনে একথা বলেন বিরোধীদল নেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন রাজ্যে দ্বিতীয়বার উপজাতিদের দাঙ্গা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল আইপিএফটি। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে সেই দাঙ্গা সৃষ্টি করতে দেওয়া হয়নি। এখন গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড বলে একের পরে এক প্রতারণা করে চলেছে এক জৈনিক ব্যক্তি। আকার ইঙ্গিতে এমনটাই বুঝালেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন ইতিহাস পাল্টে দিতে চাইছে তারা।

 কিন্তু ইতিহাস পাল্টে দেওয়ার চক্রান্তে দেশের একটা অংশ বিপদগামী এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ নয় মাস হয়েছে এ ডি সি এলাকায় তিপ্রা মথা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু জাতি উপজাতি মেলবন্ধন এখন তারা মুছে ফেলতে চাইছে। ত্রিং উৎসব করছে বাইরে থেকে গায়ক গায়িকা এনে। কিন্তু যারা উপজাতি গান বাজনার সাথে জড়িত তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় নি ত্রিংউৎসবে। এতে প্রভাবিত হচ্ছে রাজ্যের মানুষ। এর জবাব চাইলে কি জবাব দেবে তারা। এমনটাই প্রশ্ন তুললেন এদিন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এতদিন হয়েছে এডিসি -তে তিপ্রা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাট, জল, খাদ্য, রেগা কাজ এসবের কোন বন্দোবস্ত হচ্ছে না। রেগা কাজ দেওয়া হলেও মজুরি পাচ্ছে না শ্রমিকরা। শ্রমিকদের মজুরিতে মন্ডলের নেতারা এসে ভাগ বসাচ্ছে। ফলে বনজ সম্পদ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে উপজাতিরা। কেন এইগুলি দেখছে না রাজ্য এবং এ ডি সি -তে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দলগুলো। এবং রাজ্য সরকারকেও তুলোধুনো করে তিনি বলেন, সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে মিসকল দিলে চাকরি, বছরের ৫০ হাজার চাকুরীর অনেক গল্প শুনেছে রাজ্যের মানুষ। সেই গালভরা গল্প এখন আর পালন করা হচ্ছে না। তাই রাজ্যের মানুষকে সুসঙ্গত ভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এদিন অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে দলীয় পতাকা তুলেন ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের রাজ্য সভাপতি জীতেন্দ্র চৌধুরী। পাশাপাশি উপস্থিত নেতৃত্বরা জনশিক্ষা সমিতিতে যাদের অবদান ছিল তাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য