Saturday, March 15, 2025
বাড়িরাজ্যবিরোধী ব্যাঞ্চের বিক্ষোভের পর ১০ মিনিটের জন্য বিধানসভা অধিবেশন মুলতবি

বিরোধী ব্যাঞ্চের বিক্ষোভের পর ১০ মিনিটের জন্য বিধানসভা অধিবেশন মুলতবি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ মার্চ : গত ১৮ মার্চ ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিকের ককবরক ভাষা পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট হরফে লিখতে বাধ্য করা হয় কিছু ছাত্রছাত্রীকে। এ বিষয়ে গত ২৪ মার্চ বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিন রাজ্যপালের ধন্যবাদ সূচক বক্তব্যের পর অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী কাছে জানতে চান বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে অধ্যক্ষকে সেদিন বলেছিলেন ২৮ মার্চ বিধানসভা অধিবেশনে তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানাবেন। মঙ্গলবার এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কলিং এটেনশন নোটিশে বলেন, গত ১৮ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিকের ককবরক পরীক্ষা হয়।

 পরীক্ষায় কোন নির্দিষ্ট হরফে লেখার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করা হয়নি। বিগত বছরগুলোর মতোই এ বছরও ছাত্রছাত্রীরা তাদের উত্তর রোমান হরফে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল বলে পর্ষদ কর্তৃক জানা গেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী ব্যাঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের ককবরক ভাষার পরীক্ষায় নির্দিষ্ট হরফ লিখতে বাধ্য করার সূত্রপাত হয়েছে গত ১৮ মার্চ। অম্পি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে তৈদু ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এ ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার স্বপন কলই পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেন নির্দিষ্ট হরফে না লিখলে পরীক্ষার খাতা দেখা হবে না। পরবর্তী সময় এ বিষয়টি ও এস ডি -র নজরে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময় পর্ষদ থেকে এ বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট হরফের কথা বলা হয়। তারপর তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের সে নির্দিষ্ট হরফে লেখার জন্য বলেন। তাই প্রশ্ন হল সরকারের পলিসি কোথায় ? সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি ককবরক ভাষার পরীক্ষা পুনরায় গ্রহণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন এ বিষয়টি তদন্ত না করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাবে না। সিপিআইএম দলের পরিষদীয় নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য যাতে পরীক্ষায় এই অনিয়ম তদন্ত করা জন্য। এবং পরীক্ষায় যেসব ছাত্র ছাত্রীরা সমস্যায় পড়েছে তাদের জন্য ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান।

তারপর ৪১ অম্পি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পাঠান লাল জমাতিয়া বলেন, এই ঘটনার পর তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভরত দেববর্মা এবং সুপারভাইজার স্বপন কলই -র সাথে যোগাযোগ করেছেন। এদিকে তৈদু বয়েজ ও গার্লস হোস্টেলে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এই সমস্যার সম্পর্কেও অবগত হয়েছেন বলে জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যেহেতু নির্দিষ্ট ভাবে সুপারভাইজার স্বপন কলই -র বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাই দপ্তর এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে হবে। এ বিষয়ে তদন্ত না করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। পরবর্তী সময় জিতেন্দ্র চৌধুরী সরকারের লক্ষ্য জানতে চান।   মুখ্যমন্ত্রী বলেন এটা নিয়ে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। বিরোধী দল নেতা অনিমেষ দেববর্মা বলেন, তদন্ত করলে এবছর সময় চলে যাবে। পুনরায় পরীক্ষার গ্রহণের জন্য সরকারকে আশ্বস্ত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী তার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন আগে তদন্ত করতে হবে। তারপর বিরোধী ব্যাঞ্চ থেকে তিপরা মথার সদস্যরা আসন ত্যাগ করে অধ্যক্ষের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরবর্তী সময় অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন দশ মিনিটের জন্য সভা মুলতবি করেন। কিন্তু দশ মিনিট পর নিজ নিজ আসনে এসে পুনরায় বিষয়টি উত্থাপন করেন অনিমেষ দেববর্মা। তিনি দাবি করেন ককবরক ভাষার পরীক্ষার গ্রহণের জন্য তদন্তের প্রয়োজন নেই। তারপর অধ্যক্ষ বিষয়টি শেষ করার জন্য বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের সেদিন পরীক্ষার খাতায় কি লিখেছে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। সুতরাং বিষয়টি তদন্ত হতে দেওয়া জরুরী।  

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য