স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ মার্চ : রাস্তা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ। ভেঙে চুরমার বাড়ির বেড়া, কেটে দেওয়া হয় কলাগাছ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কৈলাশহর ধলিয়ার কান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায়। ছুটে আসে পুলিশ। জানা যায়, ধলিয়ার কান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চিনু মিঞা জবি ক্রয় করে বাড়িঘর তৈরি করেছিলেন। তারপর থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা হাজী রোশন আলী দাবি করেন চিনু মিঞার বাড়ির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা ছিল। চিনু মিঞা সেই রাস্তা মানতে নারাজ।
শেষ পর্যন্ত কয়েকবার পঞ্চায়েতে সালিশি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সালিশি সভার মাধ্যমে সেই রাস্তার ব্যাপার সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত হাজী রোসন আলী এবং চিনু মিয়া আইনের দ্বারস্থ হন। ২০১৬ সাল থেকে আদালতে মামলা চলছিল। বুধবার সকাল আটটার নাগাদ চিনু মিঞার বাড়ির বেড়া ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এই সময় চিনু মিঞার বাড়িতে ছিলেন না। চিনু মিঞা ছিলেন দোকানে এবং তার ছোট ছেলে ছিলেন টিলাবাজারে ল্যাবরেটরীতে। আচমকা চিনু মিঞার কাছে খবর আসে বাড়িতে বেড়া ভেঙে দিয়েছে। খবর পেয়ে চিনু মিঞা এবং তার ছেলে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান বেড়া ভাঙচুর হয়ে আছে এবং কয়েকটি কলার গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। চিনু মিঞা কৈলাশহর ইরানী থানাতে জানান ইরানি থানা থেকে ছুটে আসে পুলিশ ও টিএসআর। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগে যে পরিস্থিতিতে বেড়াচ্ছিল সেই ভাবে বেড়া থাকার জন্য নির্দেশ দেন। এদিকে হাজী রোসন আলীর ছেলে বলেন, আগামী ৩১ মার্চ পুনরায় কোর্টে রায় ঘোষণা হবে। এই রায় চিনু মিঞার বিপক্ষে যাবে বলে বেড়া ভেঙেছে এবং কলা গাছ কেটেছেন। এখন দেখার বিষয় পুলিশ তদন্ত করে আসল রহস্য কি উন্মোচন করে সেটাই এখন দেখার।