স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ডিসেম্বর : আগরতলা পৌরনিগম সহ বিভিন্ন নগর এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণ করে প্রতিটি নাগরিকদের বাড়ী বাড়ী পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আজ মহাকরণের ৩ নং কনফারেন্স হলে নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা ও পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর পৌরহিত্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান এবং নগর উন্নয়ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শহরে জল সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও সেগুলো থেকে উত্তোরণের সমাধান সূত্র খুঁজে বের করা হয়। বৈঠকে আগরতলা পৌর নিগম এলাকার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডের জল সংক্রান্ত সমস্যা খতিয়ে দেখা হয় এবং সেগুলো সমাধানের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি পৌর নিগম নির্বাচনের প্রাক্কালে
পৌর নিগমের অন্তর্গত কিছু এলাকায় পানীয় জলের একটা সমস্যা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকেরা জানিয়েছেন। যদিও সেই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে গিয়েছে। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুইবেলা পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে, তার সমাধান করতেই এদিন প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যেসব এলাকায় আয়রণ যুক্ত জল পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেখানে পরিশ্রুত পানীয় জলের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দ্রুততার সাথে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন। এরজন্য রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য পৌর নিগম এলাকার প্রতিটি স্তরের নাগরিকের বাড়ি বাড়িতে যেন মানুষের কাছে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছায়। বৈঠকে তিনি আশা ব্যক্ত করেন খুব শীঘ্রই পৌর নিগম এলাকার অন্তর্গত বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জল সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, তার দ্রুত সমাধান হবে।
আজকের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, আগরতলা পৌর নিগমের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক শৈলেস যাদব, পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার রাজীব দেববর্মা, নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা তমাল মজুমদার, পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরের এবং পৌর নিগম এলাকার জল বোর্ডের সাথে যুক্ত অন্যান্য আধিকারিকেরা।