স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৭ জুন :বিজেপির সুরে সুর! সংসদীয় কমিটিতে ‘এক দেশ এক ভোটে’র প্রস্তাবকে সমর্থন করলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সূত্রের খবর, যৌথ সংসদীয় কমিটিকে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার বিপক্ষে যা যা যুক্তি বিরোধীরা খাড়া করেছিল, সবটাই পালটা যুক্তিতে খণ্ডন করেছেন চন্দ্রচূড়। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাও খর্ব করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
এই মুহূর্তে এক দেশ এক ভোট নিয়ে বিশিষ্টদের মতামত নিচ্ছে যৌথ সংসদীয় কমিটি। ওই কমিটিই মতামত চেয়েছিল চন্দ্রচূড়ের। সূত্রের দাবি, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রস্তাবিত ব্যবস্থার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিরোধীদের তোলা যাবতীয় আশঙ্কা নসাৎ করেছেন। সূত্রের খবর কমিটিকে তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে বলা হচ্ছে এক দেশ এক ভোটে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধাক্কা খাবে, বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা সহজ হবে সেটা যুক্তিগ্রাহ্য নয়। তাছাড়া একসঙ্গে নির্বাচন সংবিধানের মূল কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটাও সত্যি নয়। ভোট একসঙ্গে হলে গণতান্ত্রিক কাঠামো ধাক্কা খাবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই।
বিচারপতির পদে থাকাকালীন বারবার নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। স্বশাসিত সংস্থাগুলির স্বাধিকার নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তিনি। অথচ সংসদীয় কমিটির সামনে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, কোনও রাজ্যে ভোট স্থগিত রাখার ক্ষমতা কমিশনের হাতে থাকা উচিত নয়। এই ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকাটা বাঞ্চনীয়। যেভাবে প্রাক্তন
জানা যাচ্ছে, ১২৯তম সংশোধনীর মাধ্যমে একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করাতে তৎপর কেন্দ্র সরকার। আর এই সংশোধনীতেই আপত্তি বিরোধীদের। তাঁদের অভিযোগ, এই সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী। যদি, ২০৩৪ সালে ‘এক দেশ এক ভোট’ চালু করা যায়, সে ক্ষেত্রে ২০২৯ সালের পরবর্তীকে যে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার মেয়াদ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিলের খসড়া অনুযায়ী, কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে যদি বিধানসভা বা লোকসভা ভেঙে যায়, তা হলে শুধুমাত্র মেয়াদের বাকি সময়টুকুর জন্য লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচন হবে। তার পর থেকে সমস্ত স্তরের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাতে বিপুল খরচে রাশ টানা যাবে বলে যুক্তি সরকারপক্ষের। আবার বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা-লোকসভা-পুরসভা-পঞ্চায়েত ভোট একসঙ্গে হলে গণতন্ত্রের বৈচিত্র নষ্ট হবে। একেকটা নির্বাচন হয় একেকটা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। সেই সুযোগ হাতছাড়া হবে আমজনতার। চন্দ্রচূড় সেই মতের বিরোধিতা করছেন।