Saturday, March 22, 2025
বাড়িরাজ্যমুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান - ৪.০ জেলা ভিত্তিক সূচনা

মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান – ৪.০ জেলা ভিত্তিক সূচনা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ মার্চ : সোমবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান – ৪.০ জেলা ভিত্তিক প্রারম্ভ সূচনা হয়।‌ এদিন ৩৯ নং ওয়ার্ডের অরুন্ধতী নগর কমিউনিটি হলে মেয়র দীপক মজুমদারের হাত ধরে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, কাউন্সিলর সহ অন্যান্যরা। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ১৮ মার্চ সাব্রুমে রাজ্যভিত্তিক মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযানের চতুর্থ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। জেলা ভিত্তিক ভাবে সোমবার থেকে সবকটি জেলাতে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।

 আজ থেকে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশা কর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা গিয়ে এই অভিযানের পরিষেবা প্রদান করবেন। তারপর ২৫ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পরিষেবার আওতায় আসবে না তাদের বাড়িতে গিয়ে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। অন্তে কৃমি সংক্রমণ, ভিটামিন -এ -র অভাবে, শৈশবে ডায়রিয়া এবং আয়রন ও ফলিক এসিডের অভাব মানুষ স্বাস্থ্যের জন্য একটি উদ্বেগ জনক বিষয়। এসব ঘাটতি শিশুর পুষ্টি গ্রহণের বাধা সৃষ্টি করে এবং শিশু বা কিশোর কিশোরীরা অপুষ্টি ও রক্ত স্বল্পতায় ভুগে। এর পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। শিশু ও কিশোর কিশোরীদের সুস্থ রাখতে, তাদের পুষ্টির বিকাশ, শারীরিক ও জ্ঞানগত ক্ষমতার বিকাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব-সুস্থ কিশোর অভিযান ৪.০।

 এই অভিযানের মাধ্যমে শূন্য থেকে উন্নিশ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ঔষধ খাওয়ানো হবে। শিশু ও কিশোর কিশোরীদের যারা বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কৃমিনাশক ঔষধ, ভিটামিন -এ পরিপূরক, ও আর এস, জিংক ট্যাবলেট সহ অন্যান্য ঔষধ সেবন করেনি, সেসব ছেলেমেয়েদের ঔষধ খাওয়ানো হবে। কৃমিনাশক দিবস কর্মসূচিতে ১ থেকে ১৯ বছরের ছেলে মেয়ে ও কিশোর কিশোরীদের কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। ভিটামিন -এ সম্পূরক কর্মসূচিতে নয় মাস বয়স থেকে পাঁচ বছরের ছেলে মেয়েকে ভিটামিন -এ সম্পূরক খাওয়ানো হবে। আয়রন ফলিক এসিড কর্মসূচি আওতায় রাজ্যের ১০ থেকে ১৯ বছরের ছেলেমেয়েদের আয়রন এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়সের ছেলে মেয়েকে ও আর এস এবং জিংক ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে। পোষণ অভিযানের অন্তর্গত শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী ছেলে মেয়ের ওজন ও উচ্চতা মাপার মাধ্যমে পুষ্টিমান নির্ণয় করা হবে। ১০ বছর বয়সের ছেলে-মেয়ে এবং ১৬ বছর বয়সের টিডি -১৬ দেওয়া হবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য