স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মার্চ : ভারতীয় জনতা পার্টির দেবতুল্য কার্যকর্তারা কোন অনিয়ম বা অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টির সাথে যুক্ত নয়। কারণ দলের কার্যকর্তারা সহজ সরল। সমাজকে কলুষিত করতে চায় না। আর এটাই সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। এর সুযোগ নিয়ে সুযোগ সন্ধানীরা ভারতীয় জনতা পার্টিকে বদনাম করার চেষ্টা করলে তাদের চিহ্নিত করুন। তাদের জন্য কি শাস্তি ব্যবস্থা করা হবে সেটার নির্দেশ পেয়ে যাবেন।
রবিবার ভারতীয় জনতা পার্টি কার্যকর্তা সম্মাননা সভায় বক্তব্য রেখে এই কথা বললেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যী। তিনি এদিন কার্যকর্তার সম্মাননা সভায় উপস্থিত মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন কারো যাতে দলীয় কার্যালয়ে যায়। তাহলে তাদের কাছে দলীয় কর্মীরা এবং মানুষ সহজ ভাবে পৌঁছাতে পারবে। লোকসভা নির্বাচনে প্রসঙ্গ টেনে শ্রী ভট্টাচার্যী বলেন, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে ত্রিপুরা থেকে দুটি আসন জয়ী করে উপহার দেওয়া হবে। এর জন্য কার্যকর্তাদের দিল্লি থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হবে সেটা হুবাহু পালন করতে কাজের ঝাপিয়ে পড়তে হবে বলে জানান রাজীব ভট্টাচার্যী।
তিনি আরো বলেন সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে যারা বিজেপি-কে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে তারা যেমন আপন, যারা ভোট দেয়নি তারাও আপন। তাই সকলের মন জয় করতে হবে বলে জানান কার্যকর্তাদের। আরব বলেন দলের নির্দেশ মানতে হবে প্রত্যেক কার্যকর্তাকে। দলে অনুশাসনের শেষ কথা। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে কার্যকর্তারা কি পেয়েছে এবং কি পায়নি সেটা না ভেবে যে দীঢ়তার সাথে কাজ করেছে। তাই জয়ের হাসি হেসেছে বিজেপি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই কার্যকর্তাদের মনে প্রভাব ফেলতে চেয়েছিল বিরোধীরা। যারা বলেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি এই বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গেল ডিজিট হয়ে যাবে তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে কার্যকর্তারা। বরং তাদের সিঙ্গেল ডিজেক্ট করে চিরতরের জন্য বাড়িতে বসিয়ে দিয়েছে। মুখ দেখানোর অধিকার নেই তাদের ত্রিপুরা রাজ্যে। কারণ রাজ্যের মানুষ বুঝতে পেরেছে তারা রাজ্যের স্বার্থে কাজ করে না। শুধু নিজেদের উন্নয়ন চায়। বিরোধীদের ইঙ্গিত করে এ কথা বললেন রাজীব ভট্টাচার্যী।
তিনি এদিন সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ভোটের আগে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস বড় বড় কথা বলেছিল। বিজেপিকে পরাজিত করতে তারা জোট হয়ে মাঠে নেমেছিল। তারা ব্যক্তিগত চরিত্রকে চরিতার্থ করতে ভারতীয় জনতা পার্টিকে রুখতে চায়েছিল। কিন্তু সর্বশক্তি দিয়েও তারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে রুখতে পারেনি। তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা। এদিন সভায় কার্যকর্তাদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্যণীয়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানান এদিনের সভায় কার্যকর্তাদের নিয়ে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, মন্ত্রী টিংকু রায়, সুশান্ত চৌধুরী সহ রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব।