স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ডিসেম্বর : প্রতিবছর জাতীয় ভোক্তা দিবস উদযাপন করার মূল উদ্দেশ্য হল ক্রেতারা অধিকার সম্পর্কে অবগত ও সচেতন হয়। পণ্য সামগ্রীর মূল্য ও গুনমান সম্পর্কে ক্রেতারা অবগত হয়। শুক্রবার জাতীয় ভোক্তা দিবস উপলক্ষ্যে আগরতলা টাউন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।
এদিন ত্রিপুরা স্টেট এনএসএস সেল ও যুব বিষয়ক ক্রীড়া দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে খাদ্য দপ্তরের সহযোগিতায় আগরতলা টাউন হলে পালন করা হয় জাতীয় ভোক্তা দিবস। অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। ক্রেতারা পণ্য সামগ্রীর মূল্য ও গুনমান সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের বিভিন্ন অধিকারের বিষয়ে সচেতন হলে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা আসবে, তেমনি ক্রেতা -বিক্রেতার মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে দেশের আর্থিক পরিকাঠামো সুদৃঢ় হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ে তোলার যে সংকল্প করেছেন তা বাস্তবায়িত হবে। ভোক্তাদের বিভিন্ন অধিকার গুলি তুলে ধরে মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেন সময়ের সাথে পণ্য ক্রয় বিক্রয় বর্তমানে অনেকটা ডিজিটাল হয়ে গেছে। ভোক্তারা বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করতে পারছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে মাথা পিছু ৫ কেজি করে চাল বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবার পিছু ১ কেজি করে ডাল প্রদান করা হয়েছে। এখনো ৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে। দেশের পাশাপাশি রাজ্যের গরিব অংশের বহু মানুষ এই সুবিধা পাচ্ছে। দেসের মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে তার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। বিভিন্নভাবে ক্রেতারা প্রতারিত হয়ে থাকে। এর পেছনে মূলত ক্রেতাদেরও দোষ থাকে। কারণ তারা সচেতন না হওয়ার কারণে প্রতারিত হয়। তাই ভোক্তা আইন সম্পর্কে অবগত হওয়া জন্য আহ্বান জানান মেয়র দীপক মজুমদার। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন অনলাইনে লেনদেনের ক্ষেত্রে সকলকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। কারন বর্তমান সময়ে মানুষ অনলাইনে লেনদেন করতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে বলে জানান তিনি। মানুষকে আইন সম্পর্কে সচেতন করতে এন এস এস -এর ভূমিকা গ্রহণ করার জন্য জানান মেয়র। জাতীয় ভোক্তা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় যারা জয়ী হয়েছিল, তাদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পুরুস্কার তুলে দেওয়া হয়।