স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৬ জুন : ইজ়রায়েলি হামলায় গাজ়া ভূখণ্ডে অন্তত ২১ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার। এমনটাই জানিয়েছেন গাজ়ার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, গাজ়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আকাশপথে হামলা এবং গুলিবর্ষণ উভয়ই চলেছে প্যালেস্টাইনিদের উপর।
বৃহস্পতিবার সকালে গাজ়া শহরে কাছে শেখ রাদওয়ানে একটি বন্ধ হওয়া স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল কিছু ঘরছাড়া পরিবার। ওই আশ্রয়কেন্দ্রে আকাশপথে ইজ়রায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় অন্তত ৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গাজ়ার দক্ষিণ প্রান্তে খান ইউনিস শহরেও একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে আছড়ে পড়ে ইজ়রায়েলি বোমা। ওই ঘটনায় আরও ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মধ্য গাজ়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণের গাড়ির অপেক্ষায় থাকা ভিড়েও ইজ়রায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অনেকে জখম হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের।
এই হামলার বিষয়ে ইজ়রায়েলি বাহিনীর তরফে কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, গাজ়া ভূখণ্ড থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করতে চাইছে তারা। গাজ়া থেকে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করে বন্দিদের মুক্ত করতে চায় ইজ়রায়েল। বস্তুত, ২০২৩ সালে গাজ়া থেকেই হামাস গোষ্ঠী ইজ়রায়েলের দক্ষিণপ্রান্তে হামলা চালিয়েছিল। তার পর থেকেই গাজ়ায় অভিযান শুরু করেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী।
ইজ়রায়েল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, গাজ়ায় বসতি এলাকায় নিজেদের ঘাঁটি বানিয়ে রেখেছে হামাস শিবির। সেই কারণেই সাধারণ মানুষেরও মৃত্যু হচ্ছে। গাজ়ায় সাধারণ প্যালেস্টাইনিদের মৃত্যুর জন্য হামাসকেই দায়ী করে যাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ গাজ়ার খান ইউনুসে বিস্ফোরণে এক লেফটেন্যান্ট-সহ সাত জন ইজ়রায়েলি সেনার মৃত্যু হয়েছে। ওই বিস্ফোরণ হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই ঘটনার পরেই গাজ়ার অসামরিক এলাকায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইজ়রায়েলি ফৌজ। বুধবার নির্বিচারে বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানায় অন্তত ৫১ জন সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিক নিহত হয়েছেন।