স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ মার্চ : সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার শপথ গ্রহণ করলেন ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। এদিন সকাল ১১ টার নাগাদ বিধানসভায় প্রোটেম স্পিকার বিনয় ভূষণ দাস কংগ্রেস বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান। তারপর তিনি বিধানসভায় তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের পাশের চেয়ারে বসে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিজেপি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। কেন দল পরাজিত হয়েছে তা প্রত্যেকটি ভোটারের কাছে জানা রয়েছে।
বিশেষ করে ৬০ শতাংশ ভোট পাওয়ার পরেও কেন ক্ষমতার অদল বদল হয়নি সেটা ফলাফলে বলে দিয়েছে। ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্য হওয়ার পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে ৩৮.৯৭ শতাংশ ভোট নিয়ে কোন দল সরকার গঠন করেনি। এই প্রথমবার কোন একটি রাজনৈতিক দল এত কম শতাংশ ভোট নিয়ে সরকার গঠন করেছে। এর আগে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে যখন কংগ্রেস লড়াই করেছিল তখন ৪৬ শতাংশ ভোট থাকার পরেও ১০-১৯ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। এবার নির্বাচনের আগেই বলা হয়েছিল যে বিজেপি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকবে। সেটা ফলাফলে প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। মাত্র সাতটি আসন ছাড়া বাকি আসন গুলিতে বহুমুখী লড়াইয়ে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি জয় পেয়েছে। এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন সুদীপ রায় বর্মন। তবে তিনি আরো একটি বিষয় ইঙ্গিত দিয়ে বলেন ভবিষ্যৎ রাজনীতির যুদ্ধ যেহেতু জারি রয়েছে তাই অনেক সত্য কথা না বলাই এই মুহূর্তে ভালো। আরো বলেন, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টের মধ্যে যে আসন সমঝোতা সেটা রাজ্যের মানুষ মেনে নিয়েছে। আগামী দিন বরাবরই বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে কংগ্রেস। যুদ্ধ জারি থাকবে। ২৭ এবং ৩২ -এর লড়াই বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে জারি থাকবে। এতদিন চুপ ছিলেন। সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, জয়ের নামে এবং শান্তির নামে সারা রাজ্যে যে তীব্র সন্ত্রাস চলছে। এ সন্ত্রাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এবং রাজ্যের যে মানবাধিকার কমিশন রয়েছে তারা এখন পর্যন্ত এই সন্ত্রাসের ঘটনায় একটিও সমুঠো মামলা গ্রহণ করেনি। এই ঘটনাগুলি পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কাছে দাবি করা হচ্ছে পরিস্থিতি যেন কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হয়। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা যেন সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী সরকারি সহযোগিতা পায় তার জন্য দাবি জানান তিনি।