স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ডিসেম্বর: একাধিক অভিযোগ পেয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আখাউড়া চেকপোস্টের গোলচক্করে নির্মিয়মান লাইট হাউস প্রজেক্ট এলাকা ও আই সি পি পরিদর্শনে করতে যান। কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ভারত বর্ষের ছয়টি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরাতে একটি লাইট হাউস প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই লাইট হাউস নির্মাণ করা হচ্ছে। এই লাইট হাউস ভূকম্পন নিরোধক। ভারতবর্ষে প্রথম এই প্রযুক্তি পরিক্ষা মূলক ভাবে করা হচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের এই প্রযুক্তি কেবল মাত্র ভারতবর্ষের মধ্যে ত্রিপুরাতেই ব্যবহার করা হচ্ছে। ৬ টি লাইট হাউসই পৃথক পৃথক প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মাণ করা হচ্ছে। জলা জমিতে মাটি ভরাট করে ১০০ ফিট পাইলিং করে এই নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। শক্তিশালী করতে এই পাইলিং করা হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে ফ্রেম তৈরি করে তা ফিট করা হবে। সময়ের আগে এই বিল্ডিং মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে জানান তিনি। সাত তলার এই বিল্ডিং এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। এই ফ্ল্যাটে থাকবে রাজ্যের গরীব মানুষেরা। আর্থিক ভাবে সবচ্ছলরা এই ফ্ল্যাটে থাকার কোন সুযোগ পাবে না। খুব কম পরিমাণে টাকা দিয়ে অন্তিম ব্যক্তিরা এই ফ্ল্যাটে থাকতে পারবেন। বাকীটা দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।
এই লাইট হাউস ত্রিপুরার জন্য গর্ব বলে জানান। পূর্ত দপ্তরের সমস্ত প্রকৌশলীদের এই নির্মাণ কাজ ঘুরে দেখার জন্য বলেন তিনি। যাতে আগামী দিনে তারাও এই ধরনের নির্মাণ কাজ করতে পারেন। কম খরচে রাজ্যের নির্মাণ কাজ গুলি যাতে এই প্রযুক্তি মাধ্যমে করা যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই লাইট হাউস ত্রিপুরার জন্য বিশেষ গৌরবময় অধ্যায় বলে জানান তিনি। প্রকৃত গরিবদের জন্য কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান অত্যন্ত কম খরচে সমাজের অন্তিম ব্যক্তিরা এ লাইট হাউসের সুযোগ পাবে। যা হয়তো রাজ্যের মানুষ কখনো কল্পনা করতে পারিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন আই সি পি পরিদর্শন করেন। এবং আইসিপি বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এদিন এছাড়াও ছিলেন নগরোয়ন্নন দপ্তরের সচিব কিরন গিত্যে, আগরতলা স্মার্ট সিটির সি ই ও শৈলেশ কুমার যাদব, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব।