স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ মার্চ : দীর্ঘ খরা কাটিয়ে মন্ত্রী পেল জোলাইবাড়ি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারা। বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্ট প্রার্থী বারে বারে জয়ী হলেও জোলাইবাড়ি বাসীর কপালে জোটেনি কোন মন্ত্রী। তবে এইবার জোলাইবাড়ি বাসীর স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে। দীর্ঘ খরা কাটিয়ে মন্ত্রিত্ব পেল জোলাইবাড়িবাসী।
২০১৮ সালে পরিবর্তনের প্রবল হাওয়ার মধ্যেও জোলাইবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয় বামফ্রন্ট প্রার্থী। কিন্তু ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব শম্ভু মানিক, তাপস দত্ত, সুভাষ নন্দী, বিকাশ বৈদ্য, মণ্ডল সভাপতি অজয় রিয়াংদের প্রচেষ্টার ফলে এই আসনে জয়ী হয় আইপিএফটি প্রার্থী। এই কেন্দ্রে আইপিএফটির তেমন কোন ভোট না থাকলেও বিজেপির সাংগঠনিক শক্তির উপর দাড়িয়ে জয় লাভ করে আইপিএফটি প্রার্থী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া। প্রথম দিকে আসনটি আইপিএফটিকে ছেড়ে দেওয়ার ফলে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। পরবর্তী সময় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব শম্ভু মানিক, তাপস দত্ত, সুভাষ নন্দী, বিকাশ বৈদ্য, মণ্ডল সভাপতি অজয় রিয়াংদের প্রচেষ্টার ফলে বিজেপি কর্মীরা এক জোট হয়ে মাঠে নামে। আর তাতেই বাজিমাত। আইপিএফটি -র একমাত্র প্রার্থী হিসাবে জোলাইবাড়ি কেন্দ্র থেকে শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া জয়ী হওয়ার ফলে জোলাইবাড়ির ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। বুধবার মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন জোলাইবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব শম্ভু মানিক, তাপস দত্ত, সুভাষ নন্দী, বিকাশ বৈদ্য, মণ্ডল সভাপতি অজয় রিয়াংদের প্রচেষ্টায় জোলাইবাড়ি কেন্দ্র থেকে আইপিএফটি প্রার্থী জয়ী হয়েছে এবং মন্ত্রী পেয়েছে জোলাইবাড়িবাসী। স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দের হাওয়া বইছে জোলাইবাড়ি জুড়ে।