স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ মার্চ : শপথ গ্রহণ সমারোহ বয়কট করলো বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব পুলেটব্যরোর সদস্য মানিক সরকার সহ বামপন্থী দল সমূহের সম্পাদকদের অনুষ্ঠানের উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পত্রের মাধ্যমে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এই আমন্ত্রণে জন্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে মুখ্য সচিবকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
কিন্তু ভোটের ফল ঘোষণার দিন থেকে সারা রাজ্যে বিজেপির দুর্বৃত্তদের মাধ্যমে যে পরিকল্পিত অভাবনীয় রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তার জন্য প্রতিবাদ এবং অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে ত্রিপুরার বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করা হয়েছে বলে বিবৃতির মাধ্যমে পরবর্তী সময় জানায় বামফ্রন্ট। একইভাবে ২০১৮ সালেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বামফ্রন্ট।
ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার বিষয় নিয়ে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোন নেতৃত্বকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তবে একদা যুযুধান দুই দল সিপিএম এবং কংগ্রেস এ বার জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়াই করে। সিপিএম পায় ১১টি আসন। কংগ্রেস পায় ৩টি আসন। ১৩টি আসন পেয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয় তিপ্রা মথা। ত্রিপুরায় বিজেপির জয়ের নেপথ্যে বিরোধী ভোট ‘বিভাজন’কেই দুষেছে বাম এবং কংগ্রেস শিবির। নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর বিজেপির বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগও করেছে তারা।