স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ মার্চ : পশ্চিম জেলায় সন্ত্রাসের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলা শাসকের দ্বারস্থ হলেন সিপিআইএমের পশ্চিম জেলা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল। পশ্চিম জেলার বর্তমান সন্ত্রাসের পরিস্থিতি তুলে ধরেন জেলা শাসকের কাছে।
ডেপুটেশনের পর রবিবার সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিস্তারিত জানান জেলা সম্পাদক রতন দাস। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশন বলেছিল জিরো পুল ভায়োলেন্স। কিন্তু ভোট গণনা চলাকালীন সময় থেকে পশ্চিম জেলায় ব্যাপক সন্ত্রাস শুরু করেছে। এবং বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তদের আক্রমণের ধরন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিকের অধিক ঘটনা সংগঠিত হয়েছে পশ্চিম জেলায়। মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় আক্রমণ সংগঠিত হওয়ার পর পুলিশ গেলেও বন্ধ করা জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না। প্রশাসনের এই ভূমিকায় উদ্বিগ্ন সিপিআইএম। তাই এই বিষয়গুলির বিরুদ্ধে জেলা শাসককে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন এই দুর্বৃত্তরা শুধু মানুষকে মারধর নয়, পরিবহন শ্রমিকদের গাড়ি চালাতে দিচ্ছে না, ব্যবসা করতে দিচ্ছে না এবং বিজেপির দুর্বৃত্ত বাহিনী পশ্চিম জেলা থেকে এখন পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ টাকা বিরোধী দলের কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে বলপূর্বক আদায় করে চলেছে।
এছাড়াও যারা সিপিআইএমের পুলিং এজেন্ট এবং কাউন্টিং এজেন্ট ছিলেন তারা বাড়ি ফিরতে পারছে না। সারা জেলাতে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে প্রতাপগড় বিধানসভা কেন্দ্র, বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্র, বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রে এবং সূর্যমনি নগর বিধানসভা কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি সংগঠিত করছে শাসক দলের দুর্বৃত্তরা। এর পাশাপাশি তিনি এই দিন সদর এলাকার রাজনগর, জয়পুর, কালিকাপুর এলাকায় অধিক সন্ত্রাস করে চলেছে। একইভাবে জিরানিয়া ও মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রকাশ্যে দিনের বেলা মোটর সাইকেল বাহিনী আক্রমণ সংগঠিত করছে। তাই জেলা শাসককে বলা হয়েছে আইনের শাসন যাতে ফিরে আনা হয়।
এবং বিশেষ করে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সহযোগিতা করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়েছে। এবং এ বিষয়ে সোমবার পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপারকে অবগত করা হবে। কারণ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর মামলা পর্যন্ত করতে যেতে পারছে না। হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের বলে অভিযোগ। এদিন ডেপুটেশনের গিয়েছিলেন সিপিআইএম ডুকলি মহকুমা কমিটির সম্পাদক নারায়ণ দে, জিরানিয়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক মধু দাস, মোহনপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক প্রণব দেববর্মা, সদর মহকুমা কমিটির সম্পাদক শুভাশিস গাঙ্গুলী।