Thursday, April 18, 2024
বাড়িরাজ্যসন্ত্রাস দমনের জন্য রাজ্যপালের কাছে যাবে বামেরা : জিতেন্দ্র

সন্ত্রাস দমনের জন্য রাজ্যপালের কাছে যাবে বামেরা : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মার্চ : ভোটের হিসেবে শাসক দল হেরেছে। ২০১৮ সালের ৫১ শতাংশ থেকে তাদের ভোট সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ৪০ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। সংখ্যা লঘিষ্ঠ মানুষের ভোট পেয়েও বিজেপি বিভিন্ন দলের ভোট ভাগাভাগির জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়েছে। এটা নৈতিকভাবে বিজেপির পরাজয়। শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।

 তিনি বলেন, বিজেপিকে মানুষ গ্রহণ করেনি। ভোট ভাগাভাগি না হলে বিজেপি জয়ী হতো না। জিতেন্দ্র চৌধুরী এদিন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে বলেন, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ লড়াই করে বিজেপি ভোট কমাতে সফল হয়েছে। প্রকৃতভাবে দুই দলের আসন সমঝোতা কোন ভুল এখন পর্যন্ত নজরে আসেনি। কিন্তু তারপরও এই পরাজয় নিয়ে রাজ্য কমিটি পর্যালোচনা করবে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে শ্রী চৌধুরী বলেন নির্বাচনের আগে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের কাছাকাছি আসার ফলে রাজ্যের মানুষ গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য রাস্তায় নেমেছে। বিশেষ করে আইনের শাসন পুনঃ প্রতিষ্ঠা করতে যে প্রয়াস শুরু করেছে তা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন গত পাঁচ বছরে বি জে পি এবং আই পি এফ টি জোট সরকারের লাগাতার সন্ত্রাস, মানুষের উপর অত্যাচার এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে লুট করেছে। আর ভোট আসতেই তারা দিল্লি থেকে ডজন ডজন নেতারা ত্রিপুরায় নিয়ে এসে হাফ ডজন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কোটি টাকা ব্যয় করেছে। তারপরও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পায়নি।

এর থেকে শিক্ষা নেয়নি বিজেপি। কোড অফ কন্টাক্ট তুলে নেওয়া পর থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে শাসক দলে মারাত্মক সন্ত্রাস। শুক্রবার রাত পর্যন্ত রাজ্যের পাঁচ শতাধিক মানুষ রক্তাক্ত হয়েছে। ৬ শতাধিক বাড়িঘর আক্রান্ত হয়েছে। বিরোধী দলের সমর্থক বলে গাড়ি রাস্তায় চালাতে দেওয়া হচ্ছে না এবং দোকানপাট খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কোন সমাজদ্রোহী গ্রেপ্তার হয়নি। শাসক দলের পক্ষ থেকে কোন আপিল করতে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। শাসক দলের এ ধরনের প্রতিহিংসা গণতন্ত্রের জন্য ভবিষ্যৎ অন্ধকার। মানুষ রুখে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে বাধ্য হবে। তাদের এই সন্ত্রাসের বিষয়ে আগামী রবিবার রাজ্যপালের কাছে জানানো হবে। দাবি জানানো হবে সরকারের হুশ ফেরাতে। মানুষ চাইছে এ সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ হওয়ার জন্য বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য