স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি : যারা জনগণের ক্ষতি করে এবং দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে তারা মনে করে তারাই সফল। শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হয়। মানুষ যদি সঙ্গবদ্ধ হতে পারে তাহলে তাদের জন বিচ্ছিন্ন করা, পরাজিত করা এবং কোনঠাসা করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব নয়। তাই রাজ্যের মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তাই দাঁড়াতে হবে। শুক্রবার মোহনপুর শনিতলা রামকৃষ্ণ সংঘে প্রাক্তন বিধায়ক রাধারমন দেবনাথের স্মরণ সভায় বক্তব্য রেখে এ কথাগুলি বললেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।
স্মরণ সভায় প্রয়াত রাধারমন দেবনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিরোধী দলনেতা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রসঙ্গে বলেন, ভোট এসেছে, ভোট দিয়েছেন। জয় হবে, পরাজয় হবে। কেউ সরকার হবে, আবার কেউ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু এটাই শেষ নয়। দেশের অবস্থা খুব খারাপ। আর দেশে যদি খারাপ হয়, রাজ্যে কিভাবে ভালো হবে? নাগাল্যান্ডের ভোট প্রচারে এসে ত্রিপুরার মতোই মানুষকে ফিরিস্তি দিচ্ছেন দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এতে মানুষের পেট ভরে না। মানুষ শিখে তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। তাই মানুষকে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে ভূমিকা নিতে হবে। কিন্তু মাথা নত করলে চলবে না। অনেক সহ্য করেছেন, আর কত সহ্য করবেন? পাঁচ বছর পর মোহনপুরে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বামেরা কর্মসূচি করতে পারছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি এদিন আরো বলেন, রাধারমন দেবনাথের কাছ থেকে অনেক বেশি শেখার রয়েছে। মানুষের বিপদে কিভাবে এগিয়ে আসতে হয় সেটা রাধারমন দেবনাথ শিখিয়ে গেছেন।
তাহলে আগামী দিনে মানুষের মনে দাগ কাটা সম্ভব হবে বলে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন মানিক সরকার। কিন্তু এদিন তিনি মোহনপুরে সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মোহনপুরে দলীয়ভাবে যে সংঙ্গতি গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে সবটাই সফল হচ্ছে ভাবলে ভুল হবে। নানা ধরনের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও ঘাটতি রয়েছে। তাই এই জটিলতা গুলি কাটিয়ে উঠতে পারলে রাধারমন দেবনাথ প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। আয়োজিত স্মরণ সভায় এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সি পি আই এম প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, মোহনপুর মহকুমা কমিটির সম্পাদক প্রণব দেববর্মা, প্রাক্তন সাংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত, কৃষ্ণা রক্ষিত, রবীন্দ্র দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। তারা সকলে প্রয়াত রাধা রমন দেববর্মার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।