স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ফেব্রুয়ারি : ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি’র বিকৃত মস্তিষ্ক এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে নয়। বিজেপি পাঁচ বছরে ত্রিপুরা রাজ্যকে সারা দেশের মধ্যে ফ্যাসিবাদী আক্রমণের পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। মানুষের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। মানুষ এর বিরুদ্ধে যে লড়াইটা করেছে। আগামী ২ মার্চ এর থেকে মুক্তি পাবে রাজ্যের মানুষ।
শাসক দল বুঝতে পারছে তারা জন বিচ্ছিন্নতা হয়ে পড়েছে। তাই রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই বিভ্রান্তে যাতে মানুষ আস্থা না রাখে। বৃহস্পতিবার সি পি আই এম জিরানিয়া মহকুমা কার্যালয়ে এসে এ কথাগুলি বললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। সি পি আই এম মহকুমা অফিসটি পরিদর্শন করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে গণতন্ত্রে অমাবস্যা নেমে এসেছিল। সারা রাজ্যের মতো জিরানিয়া মহকুমায় গণতন্ত্র বিরোধী, সংবিধান বিরোধীরা মিথ্যাচারের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতা দখল করেছিল। পাঁচটি বছর তারা ত্রিপুরার গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন বিলুপ্ত করে দিয়েছে। সে নিরিখে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরের মতো যাতে কোন ঘটনা ২ মার্চের পর পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে মানুষকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সিপিআইএমের এই মহকুমা কার্যালয়টি দীর্ঘ পাঁচ বছরে বহুবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। ভাঙচুর এবং লুটপাট হয়েছে একাধিকবার। বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক সহযোগিতায় এই দলীয় কার্যালয় খুলতে সক্ষম হয়েছিল কর্মীরা।
এদিন সি পি আই এম জিরানিয়া মহাকুমা কার্যালয় থেকে ফেরার সময় রাণীর বাজার স্থিত চাকুরি হারা শিক্ষক সত্যজিৎ দে -র বাড়িতে যান। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে। পাশে থাকারও আশ্বাস দেন তিনি। ভোটের দিন রাতের বেলা বিজেপি আশ্রিত দুর্বৃত্তদের দ্বারা আক্রান্তের শিকার হয়েছিল চাকুরি হারা শিক্ষক সত্যজিতের পরিবার। শাসক দলের দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপন করতে হয়েছিল বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকদের। বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে গিয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরী এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানান।